নরসিংদীর মাধবদীতে বাড়িতে তৈরী তালের পিঠা খাওয়ার পর রানী আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে একই পরিবারের শিশু ও নারীসহ ৬ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাতে মাধবদীর আমদিয়া ইউনিয়নের চাঁনগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রানী আক্তার চাঁনগাও এলাকার আতাউর রহমানের মেয়ে।
অসুস্থ ৬ জন হলেন : আতাউর রহমানের স্ত্রী রিনা বেগম (৪৫), মেয়ে সুবর্ণা আক্তার (১২), নাতনী মুন্নী আক্তার (১১) তিন্নী আক্তার (৮), লিজা আক্তার (৫) ও আবদুল্লাহ (৩)।
মাধবদী থানা পুলিশ জানায়, সোমবার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন রানী আক্তার। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালের পিঠা তৈরি করেন মা রিনা বেগম। রাতে রিনা বেগম মেয়ে ও ছেলের ঘরের নাতি নাতনীদের নিয়ে ওই পিঠা খান। পিঠা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন আহতদের রাতেই নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে রানী আক্তার মারা যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আমীরুল হক শামীম বলেন, পিঠার আলামতটি আমরা ল্যাব টেষ্টে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পরে বলা যাবে ঠিক কী কারণে পিঠা বিষক্রিয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পিঠায় ব্যবহৃত রং বা পিঠায় বিষাক্ত পদার্থ থেকে বিষক্রিয়া হয়েছে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত ) সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, বাড়িতে তৈরী তালের পিঠা খেয়েই সবাই অসুস্থ হয়েছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছে। নিহতের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পিঠায় কিভাবে বিষক্রিয়া হয়েছে সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে।
