• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির পাথর উত্তোলন বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি কম

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির পাথর উত্তোলন বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি কম

  • দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০১ নভেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের দিনাজপুরের হরিরামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পটি। মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির পাথর উত্তোলন বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি কম। ২০১৮ ইং সালে নভেম্বর মাসে জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোডিয়াম (জিটিসি) বেসরকারি কোম্পানি ৩ শিফটে ভূগর্ভ থেকে ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন পাথর উৎপাদন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। ফলে পাথর উৎপাদন দিন দিন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছিল।

খনির ভূ-গর্ভে নতুন স্টোপ নির্মাণ করে বিদেশী মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ স্থাপন করে খনির পাথর উত্তোলন বৃদ্ধিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে অর্ধশতাধিক বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ ও দেশী প্রকৌশলী এবং ৭ শতাদিক খনির শ্রমিক ৩ শিফটে পাথর উত্তোলন কাজে নিয়োজিত আছেন। গত ২০০৭ সালে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে দৈনিক ৩ শিফটে ৫ হাজার ৫ শত মেট্রিকটন পাথর উত্তোলনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে এর উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হয়। খনিটি ইতি পূর্বে ৭ বছর ধরে ৩ শিফটে পাথর উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি। ফলে খনিটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানের পরিনত হয়ে খনিটি বন্ধের উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেষ্ট কনসোডিয়াম (জিটিসি) দায়িত্ব পাওয়ার পর ভূ-গর্ভ থেকে ব্যাপক পাথর উত্তোলন শুরু করেন।

উল্লেখ্য যে মেশিনারিজ ত্রুটির কারণে প্রায় ৫ মাস উৎপাদন বন্ধ থাকার পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং সালে বন্ধ থাকা শিফট থেকে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। এখন মধ্যপাড়া খনির এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণির পাথর মজুদ রয়েছে। উত্তোলনকৃত পাথর বিক্রি কম হওয়ায় দু:শ্চিন্তায় পড়েছে বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। সরকারি ভাবে রাস্তা নির্মাণ, ব্রীজ কালভাট নির্মাণ, সরকারি ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য সরকারি কাজে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের পাথর ব্যবহার করলে একদিকে যেমন সরকার অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন, অন্যাদিকে নির্মাণ কাজে টিকসই বাড়বে। বিদেশ থেকে পাথর আমদানি বন্ধ করলে মধ্যপাড়া কঠিন শিলার পাথর বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। খনিটি লাভবান হবে। সে দিক বিবেচনা করে মধ্যপাড়া খনির পাথর সরকারি কাজে ব্যবহারে সরকারের খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।

মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, পাথর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে তবে পাথর বিক্রয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। খনিটি অবশ্যাই লাভজন প্রতিষ্ঠানে এগিয়ে যাবে। সেদিকে লক্ষ রেখে খনির সকল কর্মকর্তা কর্মচারী একযোগে কাজ করছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads