ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে হবিগঞ্জের ৮ যাত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিহতের পরিবারের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আলী মোঃ ইউসুফ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের ইয়াসিন আরাফাত, গোপায়া গ্রামের রিপন মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আল-আমিন, বড়বাজার গ্রামের সোহেল মিয়ার শিশু মেয়ে আদিবা, চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের রুবেল মিয়া তালুকদার, পীরেরগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের নজরুল মিয়া। তারা সবাই উদয়ন ট্রেনের যাত্রী ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হবিগঞ্জের যে কয়জন নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক নম্বর লাইনে ঢুকছিল। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা নিশীথাকে আউটারে থাকার সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিগন্যাল অমান্য করে মূল লাইনে ঢুকে পড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।