উপজেলার কৃষকরা এ বছর রবি মৌসুমে ৫০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছে। এদিকে মূল্যবান পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে চুরির আশঙ্কায় রাত-দিন পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিতে শুরু করেছে কৃষকরা।
উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের চরা চিথুলিয়া গ্রামের পেয়াজ চাষি রেজাউল করিম জানান, তাদের গ্রামের প্রায় ১০/১২ বিঘা জমিতে এ বছর আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় তারা উচ্চ মূল্যে বীজ পেঁয়াজ কিনে বুনেছেন। বিঘাপ্রতি তাদের ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি জানান, ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা পেঁয়াজে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হবে। সাধারণত এ এলাকার জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি হয় না। কিন্তু এ বছর পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় ও বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় চুরির আশঙ্কায় ও গরু-ছাগলের আক্রমণ থেকে পেঁয়াজ রক্ষায় তারা এ বছর অধিকাংশ পেঁয়াজের জমিতে নেট দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। এছাড়া পালা করে রাতে ও দিনে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন।
উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বিলকলমি গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আঙ্গুরি খাতুন বলেন, খবর শুনছি, বিভিন্ন জায়গায় ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরি হচ্ছে। তাই পেঁয়াজ রক্ষায় ক্ষেত পাহারা দিচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম বলেন, শাহজাদপুর উপজেলা নিম্ন এলাকা হলেও কিছু কিছু উঁচু এলাকায় পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এ বছর প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। আর মাত্র ১৫ দিন পর থেকে এসব জমির পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। এ পরিমাণ জমির পেঁয়াজ উঠলে এলাকার চাহিদা পূরণ করেও কৃষকরা বাইরে বিক্রি করে অধিক লাভবান হবেন।
