• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
মহাদেবপুরে হলুদ চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নওগাঁর মহাদেবপুর সদরের হুলুদ চাষী গোলাম রসুলের হলুদ খেতের দৃশ্য

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

মহাদেবপুরে হলুদ চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সরকারি ভাবে বীজ সংরক্ষণের দাবী কৃষকদের

  • মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

এম.সাখাওয়াত হোসেন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) থেকে:

নওগাঁর মহাদেবপুরে চলতি মৌসুমে ব্যাপক জমিতে হলুদ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে চাষিরা জানান । উপজেলায় গত বছরের তুলনায় হলুদ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে এ বছর বেশি জমিতে হলুদ চাষ হয়েছে। এই উপজেলায় বীজ সংরক্ষণে সরকারি ব্যবস্থাপনা না থাকায় প্রতি বছর কৃষকরা নেয্য মূল্য পাচ্ছেনা । উপজেলার মহনিগর, কুমিরদহ, কালনা, শেরপুর, এনায়েতপুর, মহিসবাথান, গোফানগর, নাটশাল, গোপালপুর, ফাজিলপুর, শিবগঞ্জ, সুলতানপুর, পাটাকাটা, রামচরণপুর, কুঞ্জবন, মধুবন,মহাদেবপুর সদরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, মাঠে কৃষকরা হলুদের পরিচর্চায় ব্যাস্ত সময় পার করছে । মহাদেবপুর সদরের ধান-চাল ব্যাবসায়ী গোলাম রসুল তার বাড়ির পার্শ্বে নিজস্ব দেড় বিঘা জমিতে সখ করে হলুদ চাষ করেছেন। চমৎকার হলুদ হওয়াই মাঠ থেকেই পাইকাররা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাম করছে বলে তিনি জানান।

মহিনগর গ্রামের হলুদ চাষি আবদুর রাজ্জাক বলেন, বারী-১সহ প্রভৃতি জাতের হলুদ এ উপজেলায় চাষ হচ্ছে। এ মৌসুমে হলুদ ভাল ফলন হবে আশা করছেন তিনি। এই জাতের হলুদ আকারে মোটা এবং রং অন্যান্য হলুদের তুলনায় ভাল। এ জাতের হলুদ প্রতি বিঘা জমিতে ৬০ থেকে ৭৫ মণ উৎপাদন হয়। গত মৌসুমে প্রতি মণ কাঁচা হলুদ বিক্রি হয়েছে আটশ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এই মৌসুমে এক হাজার টাকা থেকে এক হাজার দুইশ টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি। হলুদ চাষে জৈবসার ব্যবহারে খরচ খুব কম হয়। বিঘা প্রতি সার ও বীজসহ খরচ হয় প্রায় আট থেকে ১০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমির কাঁচা হলুদ গত মৌসুমে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬০ থেকে ৭৫ হাজার টাকায়। এ বছর বিক্রি হবে প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকায়।

শিবগঞ্জ গ্রমের নাজিম উদ্দিন জানান, বাগানের ছায়াযুক্ত জমিতে হলুদ চাষ হয়। গত মৌসুমো বারী-১ জাতের ৪০ কেজি হলুদ রোপন করে ২০ মণ হলুদ পেয়েছি। এই মৌসুমেও ফলন ভাল হবে আশা করছি। নাটশাল গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, রোপণের সময় বীজ সংকটের কারণে বেশী জমিতে আবাদ করা যায় নি। হলুদ উঠানোর সময় বীজ সংরক্ষণ করতে হয়। সরকারি ভাবে বীজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে আগামীতে অনেক চাষি হলুদ চাষ করতে আগ্রহী হবে।

মহাদেবপুর বাজারের হলুদ ব্যবসায়ীরা জানান, এই উপজেলার হলুদের সুনাম দেশব্যাপী রয়েছে। আমরা প্রতি সপ্তাহের শনিবার ও বুধবার হাটে হলুদ কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে নিয়ে যাই। বর্তমানে ৪০ কেজি শুকনো হলুদ সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার অরুণ চন্দ্র রায় জানান, চলতি মৌসুমে মহাদেবপুর উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে। উপজেলার পাশ দিয়ে আত্রায় নদী বয়ে যাওয়ায় নদীমাতৃক এলাকায় উর্বরজমিতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads