• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
মুন্সীগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

মুন্সীগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০২০

যৌতুকের ৫ লাখ টাকা দিতে না পারায় এক গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাত পা বেঁধে ওই গৃহবধূকে ফিনাইল খাওয়ানো,হাতের নখ উপড়ে নেওয়ার মতো নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুড় বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে শশুড় বাড়ির সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। এরপর মেয়েটি নিজ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে শনিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। 

মুন্সীগঞ্জ সদরের কাজিরকসবা গ্রামে গৃহবধূর আখি আক্তার লাবনী ও রফিকুল ইসলাম হৃদয়ের এক বছরের সংসার।এই ঘটনায় আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী হৃদয়,শ্বশুড় রুহুল আমিন ভূঁইয়া, শাশুড়ি শান্তি বেগম, দেবর রিফাত ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।

লাবনী সুখবাসপুর গ্রামের মো. রহিম শেখের মেয়ে। সে সরকারি রামপাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। 

স্বজনরা জানান, বিয়ের এক বছরের মধ্যে পরিবারে নেমে আসে অশান্তি। শ্বশুড় বাড়ির সদস্যরা যৌতুকের কারণে মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করতো। অত্যাচারে চোখে দেখতে পারছে না মেয়েটি। গেল বছরে দুইবার শশুড় বাড়ির লোকজন হাত পা বেঁধে ফিনাইল খাইয়ে নির্যাতন করে তাকে। একাধিকবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও হাতের নখ উঠিয়ে নেওয়ার মতো নির্যাতন করেছে শশুড় বাড়ির লোকজন। নির্যাতনের ব্যাপারে পরিবারের লোকজনকে কিছুই বলতো না মেয়েটি। স্থানীয় থানায় মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করা হয়। গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শশুড় বাড়ির লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে মেয়ের পরিবারের লোকজন গতকাল মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads