• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ : মামলা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ : মামলা

  • পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জানুয়ারি ২০২০

নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার হোছাইনিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ৪র্থ কনিষ্ঠ ব্যক্তি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম (৪৮), শরীরচর্চা শিক্ষক কামরুজ্জামান নাঈম ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে কোন কমিটি না থাকায় অপকর্ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের জমিদাতা মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র মো. আবদুস সবুর ওরফে মহসিন নামের ব্যক্তি, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও দুদক বরাবর লিখিত অভিযোগ এবং আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলা হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসাটি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। নয়াপাড়া গ্রামের আবদুল মজিদ ২৪ শতাংশ ভূমি দলিলমূলে বিক্রি করে দেন। পরবর্তী সময়ে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। মাদ্রাসার জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ৭/৮ মাস আগে আবদুল মজিদের ছেলে ও পরিবারের অন্যরা মিলে আরও ১৬ শতাংশ জায়গা দেন মাদ্রাসার নামে। এরই মধ্যে মাদ্রাসায় ৪র্থ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নতুন ভবন নির্মাণের আগে তিনটি পুরাতন বিল্ডিংয়ের ১টি হাফ বিল্ডিং, অপর ১টি হাফ বিল্ডিংয়ের আংশিক ও ১টি টিনশেড ঘর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেখেই ভেঙ্গে ইট, টিন, রড, সিমেন্টের পিলার, দরজা জানালাসহ প্রায় ২ লাখ ১৬ হাজার টাকার মালামাল হেন্ডট্রলি দিয়ে নিয়ে যায়। এ ছাড়া প্রায় ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামালের ক্ষতি সাধন করে। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম নাশকতা মামলার আসামী হয়ে জেল হাজতে ছিলেন।

এ ব্যাপারে মো. আবদুস সবুর ওরফে মহসিন বাদী হয়ে গত সোমবার বিজ্ঞ উপজেলার কোণাডহর গ্রামের মৃত আঃ রশিদের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৪৮), খলিশাউর ফজলুল হকের ছেলে গ্রামের মো. কামরুজ্জামান ওরফে নাইম (৫২) ও টিকুরিয়া গ্রামের আবুল কাশেম খান ওরফে ফুল মিয়া (৪০) বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (৩) মামলা করেন। সি.আর মোকাদ্দমা নং ২৪(১)২০২০।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, এটা একটি মিথ্যা ঘটনা। নতুন ভবন নির্মাণের কারনে ঘর ভাংগা হয়েছে কিন্তু সেখান থেকে ইট, টিন, রড, সিমেন্টের পিলার, দরজা জানালা কিছুই সরানো হয়নি। আপোষ মিমাংসার প্রক্রিয়া চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, এই বিষয়ে একটি আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেহেতু জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads