• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
পাঁচ দশক আগে বিলুপ্ত নীল গাঁই সাফারি পার্কের নতুন বাসিন্দা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

পাঁচ দশক আগে বিলুপ্ত নীল গাঁই সাফারি পার্কের নতুন বাসিন্দা

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দেশে এক মাত্র নারী নীল গাঁইটি গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বাসিন্দা হলো। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১০ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবপুর উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পদ্মার চর এলাকা থেকে আমাদের দেশে পাঁচ দশক আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া একটি নারী নীল গাঁই উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫৩ ইউনিটের সদস্য। ভারতীয় সীমানা পাড়ি দিয়ে লোকালয়ে চলে আসে এ নারী নীল গাঁইটি। পরে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আজ শনিবার সকালে উদ্ধার হওয়া নারী নীল গাঁইটি সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হয়। একটি পুরুষ ও একটি নারী নীল গাঁই রয়েছে। পুরুষ নীল গাঁইটি দিনাজপুরের জাতীয় উদ্যান রামসাগর পার্কে রাখা আছে। নারীটি রয়েছে সাফারি পার্কে। দাবি উঠেছে পুরুষ নীল গাঁইটি সাফারি পার্কে এনে নারী নীল গাঁইটির সঙ্গী করা হোক। পার্কে উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে নীল গাঁই প্রজননের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

রাজশাহী বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ফরেস্টার আশরাফুল ইসলাম বলেন, একটি স্ত্রী নীল গাঁই উদ্ধার করে বিজিবি। পরে আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে, আমরা গাজীপুরের সাফারি পার্কে শনিবার সকালে হস্তান্তর করি। তিনি বলেন এটি ভারতীয় নীল গাঁই। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে লোকালয়ে চলে আসে। পরে বিজিবি উদ্ধার করে।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার আনিসুর রহমান জানান, নীল গাঁই বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বেশ আগেই। তবে ভারতীয় অঞ্চলে কিছু কিছু চোখে পড়ে।

তিনি বলেন, নারী নীল গাঁই দুই থেকে আড়াই বছরে প্রজনন সক্ষম হয়। পুরুষ প্রজননে সক্ষম হয় চার থেকে পাঁচ বছরে। নীল গাঁই একটি বাচ্চা প্রসব করে। দুইটি বাচ্চার দেওয়ার রের্কডও রয়েছে। প্রকৃতিতে এরা ১২-১৫ বছর বেঁচে থাকে। নীল গাঁই তৃণভোজী প্রাণি। পুরুষ নীল গাঁই নীলচে ও শিঙওয়ালা হয়। নারী নীল গাঁই শিঙ ছাড়া বাদামি রঙের হয়।

পার্কের অ্যানিমেল কিপার শাহদাৎ হোসেন বলেন, নারী নীল গাঁইটি পার্কে ছাড়ার কিছুক্ষন পড়েই তার জন্য রাখা স্যালাইন মিশ্রিত পানি পান করেছে। এখন বেশ ফুরফুরা মেজাজে চলাচল করছে কোয়ারেন্টাই বেষ্টনীতে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) তবিবুর রহমান বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাজশাহী বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ফরেস্টার আশরাফুল ইসলাম পার্কে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি বলেন, এটি নারী নীল গাঁই। শরীর বেশ দুর্বল ছিল। পার্কে একটি কোয়ারেন্টাইনে অবমুক্ত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুতই দুর্বলতা সেরে উঠবে। সঙ্গী পেলে আরো দ্রুত সে চঞ্চল হয়ে উঠবে।

বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এস এম জহির আকন বলেন, আমরাও চিন্তা করছি নারী নীল গাঁই ও পুরুষ নীল গাঁইটি একত্রে বসবাসের ব্যবস্থা করার। এতে প্রজননে সাফল্য আসতে পারে। এদিকে সাফারি পার্ক প্রজননের একটি আদর্শিক স্থান হতে পারে। ঊর্ধ্বতন সকলের সাথে পরামর্শ করে এ নিয়ে কাজ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads