• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ইন্দুরকানীতে অবৈধ বসতবাড়ী ও দোকান ঘর উচ্ছেদ

ইন্দুরকানী বাজারে ডিসিআর কৃত জমির বসতঘর ও দোকান উচ্ছেদ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ইন্দুরকানীতে অবৈধ বসতবাড়ী ও দোকান ঘর উচ্ছেদ

  • ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ইন্দুরকানীতে ডিসিআর কৃত জমির বসতবাড়ী ও দোকানঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে ভাঙ্গা হলো না মন্দিরের পাকা ভবন। এ উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় ১ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আজ রোববার উপজেলা সদর ইন্দুরকানী বাজারে পাকা ২টি বসতবাড়ী, ৪টি দোকান ঘর এ উচ্ছেদ করা হয়।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা উর রহমান ও অশোক চাকমা । ইন্দুরকানী বাজারে দ্বিতলা বসতবাড়ীর মালিক আবুল কালাম ও মুজিবুর রহমান কাজী বাজার ব্যবসায়ী মোবারেক আলী, আলমগীর কাজী, ইলিয়াছ কাজী , ছত্তার কাজী ও ইউনুস কাজী এদের দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলা হয় ।

অফিস সুত্রে জানা যায়, ইন্দুরকানী বাজারে নির্ধারিত জায়গায় এ্যাসিল্যান্ড ও ইউনিয়ন ভুমি অফিস করায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় । উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পূর্বে তাদেরকে সরকারি জমির উপর স্থায়ী স্থাপনা সরানোর জন্য নোটিশ করা হয়েছে ।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়, আমরা ডিসিআর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা বানিজ্য করি । ২০/০২/২০২০ ইং তারিখে আমাদের অফিস থেকে নোটিশ দেওয়া হয় । ৩দিনের মাথায় আমাদের স্থাপনা ও মালামাল ভেঙ্গে ফেলা হয়। আমরা কিছুই সরাতে পারি নাই। একই স্থানের থাকা মন্দিরে কোন কাগজপত্র নাই শুধু মাত্র একটি দরখাস্ত দিয়ে তারা পাকা ভবন করে মন্দিরে কার্যক্রম চালাচ্ছেন । কিন্তু তাদের প্রতিষ্ঠানটি না ভেঙ্গে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতঘর ভেঙ্গে দিয়েছে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন জানান , ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ৫০গজ দুরে দ্বিতলা বসতঘরটি নির্মানের সময় বসতঘর সংলগ্ন ভুমি অফিস থেকে কোন বাধা দেওয়া হয়নি । স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি জন্য ভুমি অফিসের কর্মকর্তারাই দায়ী ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার চাকমা জানান, সরকারি জমিতে অবৈধ ভাবে বসতঘর ও দোকান ঘর স্থাপন করা হয়েছে তাহা উচ্ছেদ করার জন্যই এ অভিযান । এই জমি উপজেলা ভুমি অফিস ও ইউনিয়ন ভুমি অফিস করার জন্য নির্ধারন করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads