• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
মেঘনা অভয়াশ্রমে দুই মাস মাছধরা নিষিদ্ধ

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

মেঘনা অভয়াশ্রমে দুই মাস মাছধরা নিষিদ্ধ

  • কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় আজ শনিবার রাত ১২টা থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সময় মাছ ক্রয়-বিক্রয়, মজুশ ও পরিবহনেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০-এর ১৩ ধারা অনুযায়ী মৎস্য অধিদপ্তর ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইতোমধ্যে দুই উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে প্রচার শুরু করা হয়েছে। রামগতি উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জাতীয় মাছ ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় ও ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধিতে চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার নৌ-সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে ওই অভয়াশ্রম এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সব ধরনের জাল ফেলা নিষিদ্ধের কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।

কমলনগর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারও মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে মাছধরা বন্ধ রাখার জন্য জেলেপল্লিসহ মাছঘাট এলাকা এবং উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নানান ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। লিফলেট, পোস্টার ও মাইকের মাধ্যমে এলাকায় প্রচার-প্রচারণাও চলছে। এ ছাড়া মাছধরা প্রতিরোধের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল কুদ্দুস জানান, নিষিদ্ধ সময় জেলেদের মাছধরা থেকে বিরত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওই সময় পুনর্বাসনের আওতায় জেলেরা খাদ্য সহায়তা পাবেন।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৎস্য সংরক্ষণবিষয়ক উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি মো. আবদুল মোমিন জানান, মাছধরা বন্ধ থাকার সময়ে জেলে পরিবারের মধ্যে চার মাসের জন্য ৪০ কেজি করে চাল ভিজিএফ সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads