• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
ঘোড়াঘাটে চিকিৎসকরা পেলেন পিপিই সামগ্রী

ঘোড়াঘাটে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুর নেওয়াজের হাতে পিপিই সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ও উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ রাফে খন্দকার শাহানসা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ঘোড়াঘাটে চিকিৎসকরা পেলেন পিপিই সামগ্রী

  • ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ মার্চ ২০২০

বিশ্ব জুড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নভেল করোনা ভাইরাস। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিবেন চিকিৎসকরা। এই সব চিকিৎসদের নিরাপত্তা বা পার্সোনাল প্রোটেকশন নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। বিভিন্ন মেডিকেলের চিকিৎকরা পিপিই সামগ্রীর জন্য কর্মবিরতিও পালন করেছে। এর মাঝেই দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎকদের জন্য ২০ সেট পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ও উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ রাফে খন্দকার শাহানসা পিপিই সামগ্রী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুর নেওয়াজের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুশিনা সরেন ও ঘোড়াঘাট অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিরুল ইসলাম।

জানা যায়, বাংলাদেশে হাঁস-মুরগী ও গৃহপালিত পশু পাখির মাঝে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছিল ভাইরাস জনিত রোগ বার্ড ফ্লু। সেই সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে ইউএস এইডের পক্ষ থেকে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। যার অব্যবহৃত ৫২ সেট ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের স্টোরে সংরক্ষিত ছিল। যার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০ সেট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুর নেওয়াজ আহম্মেদ বলেন, সবাই যখন নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। তখন আমরা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে সদা প্রস্তুত রয়েছি। তবে নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে আমরা অত্যন্ত চিন্তিত ছিলাম। আমরা ২০ সেট পিপিই সামগ্রী হাতে পেলাম। এখন নিজেদেরকে সুরক্ষিত রেখে কোয়ারেন্টাইনে থাকা বা আইসোলেশনে থাকা রোগীদেরকে সেবা দেওয়া যাবে। তবে এই ২০ সেট আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। কারণ হাসপাতালে আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে শতাধিক। সকলের সুরক্ষার জন্যই পিপিই সামগ্রী প্রয়োজন।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মামুন অর রশিদ বলেন, বাংলাদেশে পশু পাখির মাঝে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছিল বার্ড ফ্লু রোগ। সেই সময় আমাদের সুরক্ষার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েক সেট পিপিই সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্য অব্যবহৃত ৫২ সেট আমাদের স্টোরে সংরক্ষিত ছিল। যা আমরা করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের জন্য দিয়েছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads