বাবাকে সঙ্গে নিয়ে অসহায় মানুষের হাতে নিত্যপণ্য সামগ্রী তুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া দেন বিভা। প্রতিদিন পিতার দেওয়া টিফিনের টাকার একটি অংশ জমা করত। উদ্দেশ্য ছিল টাকা জমিয়ে স্মার্টফোন কেনার। এভাবে কয়েকমাসের মধ্যে তার জমা হয় হাজার খানেক টাকা।
এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে করোনা ভাইরাস, এ থেকে রক্ষা পেতে এলাকা রয়েছে প্রায় লকডাউন। ফলে ছিন্নমূল অসহায় মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা। আর এসব অসহায় মানুষের দুর্দশা দেখে বিভার মনে জাগে তাদের পাশে দাড়ানো ইচ্ছা। সে মোতাবেক জমা পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেয় বাবার হাতে।
মেয়ের এ মহানুভবতা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তা বাবা-মা। তারা মেয়ের ওই টাকার সঙ্গে আরও সাড়ে ছয় হাজার টাকা যুক্ত করে ৫০ জন ছিন্নমূল মানুষকে বাসায় ডেকে নিয়ে প্রত্যেকের হাতে তিন কেজি চাল, এক কেজি আলু, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি তেল তুলে দেন। সহযোগিতা করতে পারায় আত্মতৃপ্তিতে বিভার মুখে একটু হলেও দেখা দিয়েছে প্রশান্তির হাসি।
বিভা যশোরের মনিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমানের ছোট মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিভা তার বাবা মতিয়ার রহমান ও মা নার্গিস রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ছিন্নমূল ৫০ জন মানুষকে থানা চত্বরের বাসায় ডেকে এসব পণ্যসামগ্রী তুলে দেয়।
ওসি মতিয়ার জানান, মেয়ের ভালো মনের পরিচয়ে তিনি মুগ্ধ। বিভার প্রত্যাশা, সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তশালীরা দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে অসহায় মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
