• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
এ যেন সম্প্রীতির এক নতুন মেলবন্ধন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

এ যেন সম্প্রীতির এক নতুন মেলবন্ধন

  • রিফাত আহমেদ রাসেল, দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ মে ২০২০

পবিত্র রমজান মাস শেষ এবার সারা দেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। পুরো এক মাস মহান আল্লাহ তাআলাকে রাজি-খুশি করার জন্য রোজা রাখেন মুসল্লিরা। সিয়াম সাধনা ও ত্যাগ-তিতিক্ষার পবিত্র এই মাস শেষেই ইসলাম ধর্মালম্বীরা পালন করেন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই উৎসব থেকে বাদ যায়নি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা আর্চনাকারী পুরোহিতরাও।

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ইমাম-মুয়াজ্জিন সাথে পুরোহিতদের মাঝেও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। শনিবার রাতে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো মসজিদ ও মন্দির গুলোতে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন তারা ।

এ যেন সম্প্রীতির এক নতুন মেলবন্ধনে আবদ্ধ করেছে সকলকেই। সাম্প্রদায়িক মতভেদ ভুলে অসাম্প্রদায়িক চেতনার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ দ্রুত সেবাদানকারী স্বেচ্ছাসেবকরা।

ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই প্রতিপাদ্য নতুন করে সমাজের কাছে জানান দিলেন এই তারা।

সারাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই । অঘোষিত লকডাউনও চলছে সারাদেশে । সরকার সকলকেই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন অনেক আগেই। তাই এবছর দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাবে।

তবে আনন্দের যেন শেষ নেই মুসল্লিদের মাঝে। বছরে দুইটি মাত্র ঈদ পালন করে থাকেন তারা। তার মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতরের এই ঈদ অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে। দেশে চলমান করোনা ভাইরাসের সংকটের মাঝেও যেনো ঈদের আনন্দের কোনো কমতি না হয় এই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে এসেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

নিজেদের অর্থায়নে দুর্গাপুর উপজেলার দরিদ্র প্রায় ৪১ জন ইমাম-মুয়াজ্জিন ও বেশ কয়েকজন পুরোহিতের মাঝে বিতরণ করলেন চাল, ডাল, তেল, চিনি, সেমাই সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ঈদ সামগ্রী। দুঃসময়ে এরকম উপহার পেয়ে খুশি ইমাম-মুয়াজ্জিন ও পুরোহিতরা ।

স্বেচ্ছাসেবকদের আহ্বায়ক ও সুসঙ্গ আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক একেএম ইয়াহিয়া জানান, সারাদেশে এখন করোনা ভাইরাস প্রভাবে মানুষ এখন অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন । আমরা স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেদের উদ্যোগ থেকেই আক্রান্ত মানুষের সেবা থেকে শুরু করে সকল কাজই করছি উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে । তবে আর একদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর । মানুষ আনন্দের সাথেই চাই এই দিনটি উদযাপন করতে । হতদরিদ্র মানুষ গুলো ত্রান সহায়তা চাইতে পারলেও অনেক মসজিদ-মন্দির রয়েছে যেখানে ইমাম মুয়াজ্জিন ও পুরোহিতরা লজ্জায় কারো কাছে কোন কিছু চাইতে পারেন না । তাই আমরা নিজে উদ্যোগে ও নিজেদের অর্থায়নে থেকে চেষ্টা করেছি এই সব মানুষগুলোকে সহায়তা করার । পাশাপাশি তাদের পরিচয় গোপন রেখেছি এবং উপহার বিতরণ কালেও তাদের ছবি তোলা থেকে বিরত থেকেছি ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads