• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
নবীনগরে বাবার লাশ দাফন শেষে পরীক্ষায় দেওয়া আমিরুল পেল জিপিএ ৫, বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে গেল পুলিশ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

নবীনগরে বাবার লাশ দাফন শেষে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আমিরুল জিপিএ ৫ পেয়েছে, বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে গেল পুলিশ

  • নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ মে ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামে বাবার লাশ দাফন করে সলিমগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া সলিমগঞ্জ এ আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র আমিরুল ইসলাম বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে।

জিপিএ-৫ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম আজ রোববার রাতে মিষ্টি নিয়ে হাজির হন আমিনুলের বাড়িতে।

জানা যায়, নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের খোরশেদ আলম গত ২ ফেব্রুয়ারী উপজেলার সলিমগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তার ছেলের এসএসসির পরীক্ষার সিট দেখতে গিয়ে স্কুলের তোরণ ভেঙ্গে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরদিন সকালে ছেলে আমিরুল তার পিতা খোরশেদ মিয়ার লাশ দাফন করে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সেই আমিরুল পিতার মুত্যুর শোক নিয়ে পরীক্ষা দিয়েও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১১৫০ নম্বর পেয়ে গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়ে সবার নজর কেড়েছেন।

গোল্ডেন জিপিএ প্রাপ্ত আমিনুল কান্নাজনিত কন্ঠে এই প্রতিবেদককে বলেন, বাবা আশা পুরণ করতে মা ও বোনদের অনুপ্রেরনায় আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমি বড় হয়ে একজন চিকিৎসক হতে চাই। গবীরদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিতে চাই।

মা আনোয়ারা বেগম ও বোন নিলুফা বলেন, আমিনুলের জন্য সবার কাছে দোয়া ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে। তার বাবা স্বপ্ন পূরণ করলেই আমরা স্বার্থক।

সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আমিনুল মেধা দিয়ে অনেক প্রতিকুলতার মাধ্যমে সে জিপিএ-৫ পাওয়ায় তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও আমাদের সামান্য উপহার। তার শোকের মুর্হুতেও ছাত্র হিসেবে কর্তব্য থেকে পিছপা হয়নি। আমিরুলের এই ফল আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।

সলিমগঞ্জ এ আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাম্মদ আলী বলেন, আমার ২৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনে এতো আনন্দ পাইনি। আমিরুলের ফল দেখে যতটুকু আনন্দ পেয়েছি। আমার নিজের সন্তানও এই স্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। আমি আনন্দিত হয়েছি আমিরুলের ফলে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন, আমিরুলের এই ফল আমাদেও শিক্ষক সমাজ খুবই আনন্দিত। তার সুন্দর ও কল্যাণময় জীবন কামনা করছি। আগামী দিনে তার লেখা পড়ার বিষয়ে আমার যে কোন বিষয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads