• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গে মৃতের দেহ দাহ করতে দেয়নি শশ্মান কমিটির সভাপতি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গে মৃতের দেহ দাহ করতে দেয়নি শশ্মান কমিটির সভাপতি

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ জুন ২০২০

হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গে নিহতের মৃত দেহ দাহ করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর শশ্মান কমিটির সভাপতি অপন সাহা। এ নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।

হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউড় আখড়ার পরিচালনা পর্ষদের যুগ্ম সম্পাদক তপন পাল জানান, হাজীগঞ্জ বাজারের স্বর্ণকার পট্টির বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যাবসায়ী রায় কুটির শিল্পের সত্ত্বাধিকারী শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউড় আখড়ার কার্যকরী কমিটির সদস্য রঞ্জিব কুমার রায় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে শ্বাসকষ্টে মারা যান। এ ছাড়াও তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ্য ছিলেন। সকালে তার মৃতদেহ দাহ করার জন্য হাজীগঞ্জ পৌর মহা শশ্মানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শশ্মান কমিটি মৃতদেহ দাফনে টালবাহানা শুরু করে ৩ ঘন্টা ধরে পরিবারের লোকজন শশ্মান কমিটির পায়ে ধরলেও শশ্মানে মৃতদেহ দাহ করতে দেয়নি কমিটির সভাপতি অপন সাহা।

তিনি আরো জানান, নিহত রঞ্জিব কুমারের ছোট বাই শশ্মান কমিটির সাধারণ সম্পাদকের কাছে মৃতদেহ দাহর জন্য অনুমতির জন্য গেলে তিনি শশ্মান কমিটির সভাপতি অপন সাহার কাছে যেতে বলেন।

অপন সাহার কাছে অনুমতি চাইলে তিনি জানান, আমি শশ্মান সংস্কারে অনেক টাকা খরচ করেছি। এখানে সব মৃতদেহ দাহ করা হয় না। সকাল ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে মৃতদেহ নিয়ে রঞ্জিবের পরিবার তাদের গ্রামের বাড়ী একই উপজেলার ৬নং বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামে নিয়ে দাহ করে।

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এবং শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউড় আখড়ার সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত ভদ্র মিঠুন জানান, একটি মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে একটি পরিবার শশ্মানে বসে থাকলও অপন সাহা লাশ দাহ করতে দেয়নি বিষয়টি খুবই দূঃখজনক।

তিনি জানান, আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া, পৌর মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে শশ্মান কমিটির সভাপতি অপন সাহাকে কয়েকবার ফোন করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় তবে সাধারণ সম্পাদক মুঠোফোনে জানান, মৃতদেহ দাহ করার জন্য রঞ্জিব কুমার রায়ের ছোট ভাই আমার কাছে এসেছিল আমি বলেছি সভাপতির সাথে যোগাযোগ করার জন্য। তারা পরে আর কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করতে আসেনি।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads