• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে কুমিল্লার বাটিক কাপড়

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে কুমিল্লার বাটিক কাপড়

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৫ জুলাই ২০২০

নজরকাড়া রং-নান্দনিক ডিজাইন। দেখতে সুন্দর, দামে সাশ্রয়ী। ব্যবহারে নিজস্ব ঐতিহ্যর পরশ। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কমলপুর গ্রামের বাটিক কাপড়। স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পরিধেয় বস্ত্রের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও চাহিদা ও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছে।

সরেজমিনে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একদল নারী-পুরুষ বাটিক কাপড় দিয়ে পরিধেয় বস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কাপড়ে নকশা দিচ্ছেন, কেউ রং মিশ্রিত পানিতে কাপড় ভিজিয়ে দিচ্ছেন। কেউ ভেজা কাপড়গুলো রোদে শুকাতে দিচ্ছেন। আবার কয়েকজন পুরুষ মানুষকে দেখা গেলো শুকনো কাপড় ভাঁজ করছেন। কারখানার অন্তত ৩০-৪০ জন নারী পুরুষ পর্যায়ক্রমে কাজগুলো করছেন।

সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে কুমিল্লা কমলপুর গ্রামে বাটিক কাপড়ে রং দিয়ে নকশা করা হয়। তারপর বানানো হয় লুঙ্গি, থ্রিপিস, শার্ট ও বেডশীট। কমলপুরে তৈরী করা পোষাকগুলো দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।

কথা হয় কমলপুরের বাসিন্দা ও বাটিক কারখানা কুমিল্লা ডাইং এর ব্যবস্থাপক ইব্রাহিমের সাথে। তিনি জানান, কুমিল্লা ডাইংয়ের মালিক হেদায়াতুল ইসলাম।

ইব্রাহিম আরো জানান, কমলপুরে ৭-৮ টি বাটিক কোম্পানী রয়েছে। তার মধ্যে কুমিল্লা ডাইং অন্যতম। তার কারখানায় ৪০ জন নারী পুরুষ কাজ করেন। কাজের দক্ষতা অনুযায়ী ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা বেতন পান কর্মরত নারী পুরুষরা।

সূত্র জানায়, নরসিংদী জেলা থেকে কাপড় আসে। সেগুলো এখানে এনে ধোলাই করা, রং করা ও ডিজাইন করা হয়। পরে চাহিদা অনুযায়ী লুঙ্গি, থ্রি পিচ, শার্ট ও বেডশীট তৈরী করা হয়। কুমিল্লা কমলপুরের বাটিক কারখানাগুলো সপ্তাহে দুই থেকে আড়াই হাজার পিস লুঙ্গি, থ্রিপীচ, শার্ট ও বেডশীট তৈরী করতে পারেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাটিক কারখানার একাধিক মালিক জানান, বাটিক কুমিল্লা তথা সারা দেশের ঐতিহ্যর নির্দশন। আকর্ষণীয় ডিজাইন, দামে সাশ্রয়ী পরতেও আরাম বলে দেশে বিদেশে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। তবে দেশে প্রচার- প্রসারসহ বাটিকের অস্তিত্ব রক্ষায় সরকারী সহযোগীতা পেলে শিল্পটি দেশের অর্থনীতিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads