দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আপন ফুফার কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে পাঁচ বছরের এক শিশু। এ ঘটনার ওই শিশুর মা বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম নয়াপাড়া গ্রামের হাসেন-সাধনা বেগম দম্পত্তির তৃতীয় কন্যা সন্তান মাধবী লতা মিম (৫) কে তার দাদা-দাদি লালন পালন করে। বাবা হাসেন মিয়া মাদকাসক্ত হওয়ায় তার মা সাধনা বেগম ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করে। গত শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাতে শিশুটির ফুফা আতোয়ার মিয়া (৩৫) তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং রাতে শিশু কন্যা মিম তার ফুফা আতোয়ার মিয়ার সাথে একই বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে লম্পট ফুফা আতোয়ার তার যৌন লালসা মেটাতে শিশুটিকে যৌন নিপীড়ন করে। পরে রাতেই শিশুটি কৌশলে বাহিরে গিয়ে তার দাদা-দাদিকে এবং সকালে ফোন করে তার মা সাধনা বেগমকে পুরো ঘটনা জানান। ঘটনা শোনার পর পরেই তার মা ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে পারিবারিক ভাবে ঘটনাটি নিশ্চিত হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা রজু করে।
লম্পট আতোয়ার মিয়া (৩৫) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভেলামারী কৌচা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুস সোবাহান জানান, শিশু মিম ও তার পরিবারের কাছে আমরা পুরো ঘটনা শুনেছি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন অভিযুক্ত আতোয়ার জ্বিনের বাদশা চক্রের অন্যতম সদস্য। তার নামে পাশ্ববর্তী থানায় প্রতারণার করে অর্থ আত্মসাতের মামলাও রয়েছে। ঘটনা ঘটানোর পর পরেই সে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় ২০০০ সালেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ১০ ধারায় মামলা করেছে (মামলা নং-১৬)। আমরা ঘটনাটিতে প্রাথমিক তদন্ত করেছি। ঘটনার সাথে জড়িত আসামি গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে ।
