• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

ক্রিকেট

মার্শালের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে মধ্যাঞ্চল

৪০৩ রানে অল আউট দক্ষিণাঞ্চল

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০১৮

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম দিন সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের ওপেনার সাদমান ইসলাম। গতকাল দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরি করলেন মার্শাল আইয়ুব। সব মিলিয়ে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে মধ্যাঞ্চল। বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ ৫২৯ রান। অন্যদিকে সিলেটে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪০৩ রানে শেষ হয়েছে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে পূর্বাঞ্চলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৫ রান।

বগুড়ায় ৩ উইকেটে ২৪৯ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। ২০ রানে মার্শাল আইয়ুব ও ২১ রানে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন অপরাজিত। মাহমুদউল্লাহ দ্বিতীয় দিনে যোগ করতে পেরেছেন মাত্র ৫ রান। ব্যক্তিগত ২৬ রানে তিনি আরিফুলের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে ধীমান ঘোষের গ্লাভসে। দ্রুত বিদায় নেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইরফান শুকুরও (০)। তবে দৃঢ় প্রত্যয়ী মার্শাল আইয়ুব দারুণ জুটি গড়েন তানবির হায়দারের সঙ্গে। এই জুটি থেকে আসে ১০৮ রান।

দলীয় ৩৬৬ রানের মাথায় হাফসেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তানবির হায়দার। ১১৬ বলে ৪৬ রান করে তিনি সানজামুলের এলবিডব্লিউর শিকার। তবে হাল ছাড়েননি মার্শাল। নতুন জুটি গড়ে তোলেন মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে। এই জুটি দলকে টেনে নিয়ে যায় ৪৩৩ রান পর্যন্ত। তখনই ছন্দপতন মার্শাল আইয়ুবের। আরিফুলের বলে ক্যাচ তুলে দেন জুনায়েদ সিদ্দিকীর হাতে। তবে তার আগে করেন যান ইনিংস-সর্বোচ্চ ১৩২ রান। ২১০ বলের এই ইনিংসে মার্শাল হাঁকান ১৪টি চার ও একটি ছক্কা। শেষের দিকে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন মোশাররফ হোসেন। তিনিও পেতে পারতেন সেঞ্চুরি। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে তা সম্ভব হয়নি। দল যখন অল আউট ৫২৯ রানে, তখন তিনি অপরাজিত ৮৩ রানে। ১৩১ বলের ইনিংসে মোশাররফ  কোনো ছক্কা হাঁকাতে পারেননি। তবে মেরেছেন ১৩টি বাউন্ডারি। বল হাতে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আরিফুল হক। এছাড়া সানজামুল ও শরিফুল দুটি, ফরহাদ রেজা একটি উইকেট লাভ করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক ওভার খেলেছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। তাতে কোনো রান আসেনি। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিকী শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

অন্যদিকে বগুড়ায় ভালোই রান তুলেছে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল। সাত উইকেটে ২৯৯ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। অধিনায়ক নূরুল হাসান সোহান ও দেলওয়ার হোসেন সমান ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। গতকাল দ্বিতীয় দিন দুজনই বেশ ভালো করেছেন ব্যাট হাতে। ৬৩ রান করে বিদায় নেন দেলওয়ার হোসেন। ফিফটির দেখা পেতে পারতেন সোহানও। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে পারেননি। ৪০৩ রানে অলআউট দক্ষিণাঞ্চল। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন নূরুল হাসান সোহান। রানটা আরো বাড়তে পারত। তবে লোয়ার অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান দাঁড়াতেই পারেননি। নাঈম হাসান, আবদুর রাজ্জাক ও কামরুল ইসলাম রাব্বি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। বল হাতে পূর্বাঞ্চলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। আবু জায়েদ রাহি ও সাইফউদ্দিন দুটি করে, সোহাগ গাজী নেন একটি উইকেট।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বাজেই ছিল পূর্বাঞ্চলের। ৩৭ রানের মধ্যে হারায় দুই উইকেট। ব্যক্তিগত ১৪ রানে রাব্বির প্রথম শিকার ওপেনার আফিফ হোসেন। এরপর ব্যক্তিগত ৫ রানে ইমতিয়াজ হোসেনও রাব্বির বলে নূরুল হাসানের গ্লাভসে ধরা পড়েন। এরপর মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। এই জুটি ভাঙে দলীয় ৯৫ রানে। ভালো করতে পারেননি আশরাফুল। ব্যক্তিগত ১২ রানে তিনি রাজ্জাকের বলে এলবিডব্লিউ। অথচ বল খেলেছেন ৫৯টি। দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত আছেন লিটন কুমার। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী রানের খাতা খুলতে পারেনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads