• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ক্রিকেট

ড্র ম্যাচে মোসাদ্দেকের দারুণ সেঞ্চুরি

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২১ এপ্রিল ২০১৮

প্রথম ইনিংসে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল ১৯১ রানে অল আউট। ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংসে করে ৩০২ রান। দুই দলের দুই ইনিংস হওয়ার পর মনে হচ্ছিল ম্যাচে রেজাল্ট আসবে। কিন্তু বিধিবাম। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবল দাপটে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণাঞ্চল। মিথুন ও মোসাদ্দেকের ওয়ানডে স্টাইলে সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে ওঠে দলটি। ৮ উইকেটে ৪৮৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল। জয়ের জন্য মধ্যাঞ্চলের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩৭৪ রানের, যা শেষ দিনে মোটেও সম্ভব নয়। ৫৫ ওভার খেলার পর মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৮। ফলে ম্যাচ ড্র। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) টানা পাঁচ ম্যাচে ড্র করল দক্ষিণাঞ্চল। আর মধ্যাঞ্চলের এটি চতুর্থ ড্র, বাকি একটি ম্যাচে হেরেছে তারা।

৬ উইকেটে ৩৪৮ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। ১৭ রানে জিয়াউর রহমান ও ২২ রানে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ছিলেন অপরাজিত। গতকাল রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি জিয়াউর রহমান। ব্যক্তিগত ২৫ রানে তিনি আবু হায়দারের শিকার। তবে নাঈম ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ঠিকই সেঞ্চুরি পেয়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার সেঞ্চুরি নিশ্চিত হওয়ার পরই ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল। ১০৭ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। অনেকটাই ওয়ানডে স্টাইলে সেঞ্চুরি। কে বলবেন এটি চারদিনের ম্যাচ। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও চারটি ছক্কার মার। কয়েক দিন আগেই বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক। সেই রাগ কি ব্যাটে-বলে ঝাড়লেন তিনি?

অন্যদিকে ৬২ বলে সাত চারে ৪৩ রান করেন নাঈম হাসান। মধ্যাঞ্চলের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন মোশাররফ হোসেন। আবু হায়দার রনি, তানবির হায়দার নেন দুটি করে উইকেট। ইবাদত হোসেন পান একটি উইকেট।

৩৭৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মধ্যাঞ্চল। দলীয় ৪৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন। ব্যক্তিগত ১৮ রানে রাব্বিকে হাঁকাতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ওপেনার সাদমান ইসলাম। দলীয় ৭৬ রানে ফিফটির আফসোস নিয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার সাইফ হোসেন। ৯৭ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৩ রানে তিনিও স্টাম্পিংয়ের শিকার। তবে এবার বোলার ছিলেন স্পিনার আবদুর রাজ্জাক।

এরপর অবশ্য মার্শাল আইয়ুব ও আবদুল মজিদ দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। দুজনে দলকে নিয়ে যান ১২২ রান পর্যন্ত। ৩০ বলে ১৬ রানে বিদায় নেন মার্শাল রাজ্জাকের বলে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর দ্রুতই বিদায় নেন তানবির হায়দার (৩) ও ইরফান শুক্কুর (২)। ১৪৩ রানে নেই ৫ উইকেট। তবে আবদুল মজিদ ও মোশাররফ হোসেন তখন ধীরে সুস্থে ব্যাট করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ম্যাচ ড্রর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১১০ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন আবদুল মজিদ। ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন মোশাররফ রুবেল। দ্বিতীয় ইনিংসে রাজ্জাক নেন ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। মোট ৯ উইকেট নেওয়ার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন দক্ষিণাঞ্চলের এই তারকা স্পিনার।

পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে রয়েছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। পাঁচ ম্যাচে দুই জয় ও তিন ড্রয়ে ৫৮ পয়েন্ট দলটির। ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। পাঁচ ম্যাচেই ড্র করেছে দলটি। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচে এক হার ও চার ড্রয়ে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল। আর সবার নিচে অবস্থান ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের। পাঁচ ম্যাচে এক হার ও চার ড্রয়ে দলটির পয়েন্ট ৩৯।

ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডেই হবে বিসিএলের শিরোপা নিষ্পত্তি। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে শেষ রাউন্ডের খেলা। রাজশাহীতে মোকাবেলা করবে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। অন্যদিকে খুলনায় বিসিবি উত্তরাঞ্চলের প্রতিপক্ষ প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল। এই ম্যাচটির দিকেই সবার নজর থাকবে। কারণ পয়েন্ট তালিকায় দুই দল রয়েছে এক ও দুই নম্বরে। জিতলে হিসাব ছাড়াই শিরোপা করায়ত্ত করবে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। তবে ড্র করলেও শিরোপা থাকবে তাদেরই হাতে। খুলনায় শেষ রাউন্ডের ম্যাচে খেলার কথা রয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads