• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
টেস্টে থাকছে টস 

টিকে গেল টসের ভাগ্য

ইন্টারনেট

ক্রিকেট

টেস্টে থাকছে টস 

বল টেম্পারিং ও স্লেজের জন্য কঠিন শাস্তি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩১ মে ২০১৮

ক্রিকেটের আদি সংস্করণ টেস্ট। সাদা পোশাকের এই ক্রিকেট শুরু হয়েছিল ১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে। যে ম্যাচে শুরুতে হয়েছিল টস পর্ব। যাতে নির্ধারিত হয়েছিল কোন দল আগে ব্যাট বা বোলিং করবে। এরপর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে টস পর্ব ঐতিহ্য হিসেবেই চলে আসছে। শুধু তাই নয়, পরবর্তী সময়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ভার্সনেও রয়েছে এই প্রথা। সম্প্রতি টেস্টে টস থাকছে না, এ বিষয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। পক্ষে বিপক্ষে চলে কথাবার্তা।

শেষ পর্যন্ত টেস্টে টস পর্ব থাকবে কি থাকবে না, তা নির্ধারণের জন্য মুম্বাইয়ে আলোচনায় বসার কথা বলে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। গত মঙ্গলবার সেই সভায় টস ভাগ্যের রেজাল্ট হয়েছে। যে সিদ্ধান্ত বেশ ইতিবাচকই। ম্যাচের আগে মুদ্রা নিক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাটিং-বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াকে ক্রিকেটের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ হিসেবেই মনে করেছে অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি। আর তাই টেস্টে টস পর্ব না থাকার শঙ্কা দূর হলো। টিকে গেল টসের ভাগ্য।

মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় বেশকিছু বিষয়ে সুপারিশ করেছে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি। বল বিকৃতি এবং ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্রীড়াসুলভ মানসিকতার অভাব দিন দিন বেড়েই চলছে। ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো ও খেলোয়াড়দের মধ্যে শ্রদ্ধার সংস্কৃতি পুনঃস্থাপন করতে আইসিসির প্রতি সুপারিশ করেছে এই কমিটি। এ ছাড়া বল বিকৃতির সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড়দের কঠোরতর শাস্তির সুপারিশও করা হয়েছে। ক্রিকেট কমিটির এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং, শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ও ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন এবং কোচ মাইক হেসন।

ক্রিকেট কমিটির দুই দিনব্যাপী এই সভায় মূল বিষয় ছিল টস। টেস্টে স্বাগতিক দলগুলোর হোম কন্ডিশনের সুবিধা কমাতেই টস প্রথা বিলোপের কথা ভেবেছিল ক্রিকেট কমিটি। কিন্তু আইসিসির এক বিবৃতিতে ক্রিকেট কমিটি জানিয়েছে, টস টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটাও খেলার অংশ। টস নয়, উইকেটের দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। যাতে করে ব্যাট ও বলের নিরপেক্ষ ও মহৎ লড়াইটা হয়। আর ম্যাচে অতিরিক্ত খারাপ ভাষা ব্যবহার, কাউকে হেনস্থা করা ও বল টেম্পারিং মারাত্মক অপরাধ। এগুলো দমন করতে হবে। তাছাড়া এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আম্পায়ারদের আরো বেশি অধিকার দেওয়া প্রয়োজন বলে কমিটি মনে করছে।

টেস্ট ক্রিকেটে বাড়তি সুবিধা পেতে স্বাগতিক দেশগুলো ইচ্ছামতো উইকেট তৈরি করে। এই পদ্ধতির ওপর সরাসরি পদক্ষেপ নিচ্ছে না আইসিসি। তবে থাকছে কড়া দৃষ্টি ও পয়েন্টের ব্যবস্থা। সুবিধা নিতে স্বাগতিক শিবির যদি বাজে উইকেট তৈরি করে তাহলে সেক্ষেত্রে বাড়তি পয়েন্ট পাবে সফরকারী শিবির। এ ব্যাপারে আইসিসির বিবৃতি, ‘টেস্টের উইকেট যেভাবে বানানো হয়, তা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। কমিটি তাই সদস্যদের বলেছে, আইসিসির নিয়ম মেনে এমন উইকেট বানানোর প্রতি নজর দিতে, যেন ব্যাট-বলের ভারসাম্য বজায় থাকে।’

মাঠে বল টেম্পারিং ও স্লেজিংয়ে কাউকে হেনস্থা করা এবং এসব বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আম্পায়ারদের ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সভায়। এমন পরিস্থিতিতে কড়া শাস্তির পক্ষে রায় দিয়েছে কুম্বলের ক্রিকেট কমিটি। বল টেম্পারিং কিংবা ব্যক্তিগত আক্রমণে নিষেধাজ্ঞাসহ ম্যাচ রেফারিকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ অধিকার দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads