গত ২০১৬ সালে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের সবশেষ আসরটি হয়েছিল ভারতে। এবার ১৩তম আসরের আয়োজক নেপাল। আগামী বছরের ৯ থেকে ১৮ মার্চ কাঠমান্ডু ও পোখরায় হবে এ অঞ্চলের জমকালো ক্রীড়া আসর। আসরের সবকিছু নিশ্চিত হয়েছে সাত দেশের অলিম্পিক কমিটির প্রতিনিধিদের সভায়। তাতে বড় একটি বিষয় নিশ্চিত হয়েছে। সেটা হলো ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আগামী আসরের জন্য।
এবারের আসরে থাকছে ভিন্নতা, বাড়ানো হয়েছে ডিসিপ্লিন। ২৭ ডিসিপ্লিন নিয়ে হবে নেপালের আসর। সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেট প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক এই গেমসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ছেলে ও মেয়ে দুই বিভাগে অংশ নেওয়া যাবে। ছেলেদের বিভাগে থাকবে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলোয়াড়রা। এছাড়া তিনজন সিনিয়র খেলোয়াড়ও খেলানো যাবে। আর মেয়েদের বিভাগে থাকবে সিনিয়র দল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতে পারে ক্রিকেটের স্বর্ণপদকের লড়াই।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ফখরুদ্দিন হায়দার সভা শেষে বলেছেন, ‘আগামী বছর নেপালে হচ্ছে এসএ গেমস। সভায় আয়োজকদের বলা হয়েছে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাঠাতে। দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের অলিম্পিক কমিটির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন সভায়। মার্চ মাসের আয়োজন নিয়ে কেউ আপত্তি তোলেনি।’
নেপালের অলিম্পিক কমিটির প্রধান জীবন রাম শ্রেষ্ঠার সভাপতিত্বে সাত দেশের প্রতিনিধিরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি ফখরুদ্দিন হায়দার ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জানান, ‘এই সভায় আমরা ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করেছি। ঢুকেছে আরেকটি ডিসিপ্লিন প্যারাগ্লাইডিং। সব মিলিয়ে ২৭টি ডিসিপ্লিনে হবে এবারের গেমস।’
বাংলাদেশের জন্য ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হওয়া একটি পজিটিভ বিষয়। কারণ, বাংলাদেশ পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট অবশ্যই সোনা কিংবা অন্য পদক লাভের যোগ্যতা রাখে। বিশেষ করে মহিলা ক্রিকেটে বাংলদেশ এখন এশিয়ার সেরা। আর পুরুষদের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কয়েকবার রানার্সআপ হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। তাই এসএ গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সবাই খুশি হয়েছেন- এ কথা বলা যায়।