আফগানগানদের শেষ ওভারে প্রয়োজন ৮ রান। হাতে আছে ৬টি উইকেট। কিন্তু মোস্তাফিজের কাটার জাদুতে জয় তুলে নিতে পারেনি দলটি। মোস্তাফিজের অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ দল। এই জয়ের মধ্য দিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ দল। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই ফাইনালে চলে যাবে বাংলাদেশ।
সুপার ফোর পর্বে টানা দুই হারে টুর্নামেন্ট থেকে আফগানদের বিদায় নিশ্চিত হলো। এদিকে দুই ম্যাচ জিতে ভারত পা দিয়ে রেখেছে ফাইনালে। এদিকে একটি করে জয় এখন বাংলাদেশ-পাকিস্তানের। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে বাংলাদেশে-পাকিস্তানের ম্যাচেই নির্ধারিত হবে কোন দল খেলছে ফাইনাল।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানেই নেই টাইগারদের দু’উইকেট। লিটন-মুশফিকের ৬৫ রানের পার্টনারশিপে চাপ কাটিয়ে উঠে টাইগাররা। এর মধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিক। ব্যক্তিগত ৪১ রান করে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন লিটন।
এরপরই সাকিব-মুশফিকের দুজনেই রানআউট হয়ে ফিরে গেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আফগানদের হাতে। তবে ইমরুল - মাহমুদুল্লাহর ১২৮ রানের পার্টনারশিপে সাত উইকেটে ২৪৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমরুল।
২৫০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৬ রানেই দুউইকেট হারায় আফগানিস্তান। তবে শাহজাদের হাফ সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফিরে আসে দলটি।
এরপরও মোহাম্মদ নবীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল আফগানরা। ৪৯তম ওভারে নবীর উইকেট তুলে নেন সাকিব। শেষ ওভারে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে সাত উইকেটে ২৪৬ রানে থেমে যায় আফগানিস্তান
ম্যাচ ফলাফল: বাংলাদেশ: ২৪৯/৭, আফগানিস্তান: ২৪৬/৭, ফল: বাংলাদেশ ৩ রানে জয়ী। ম্যান অবদা ম্যাচ: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশ)