• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
‘হূদয় দিয়ে খেলেছি’

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

‘হূদয় দিয়ে খেলেছি’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এবারের এশিয়া কাপটা অনেক দিক থেকেই সেরা। যদিও শিরোপার জন্য আক্ষেপটা পুরনো। তবে আগের দুইবারের ফাইনাল থেকে এবারের ফাইনাল ভিন্ন। এবারের এশিয়া কাপে চোট-জর্জর দল যেভাবে ফাইনালে উঠেছে, তা প্রশংসার দাবিদার। আবার সাকিব-তামিমকে ছাড়াই অঘোষিত সেমিতে পাকিস্তান ও ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াকু মেজাজ সবার নজর কেড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই কীভাবে লড়াই করতে হয় তা দেখিয়েছে টাইগার শিবির।

তারপরও আক্ষেপ- ফাইনালে উঠেও শিরোপায় চুমু না খেতে পারার। তিন তিনবার স্বপ্নভঙ্গ। তবে বাংলাদেশ দল নিজেদের উজাড় করে খেলেছে টুর্নামেন্টে, তা একবাক্যে স্বীকার করবেন সবাই। শুধু তাই নয়, কষ্টটা বুকে চেপে এমন কথা বলেছেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজাও। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নড়াইল এক্সপ্রেস যেমন বলেছেন, ‘আমরা হূদয় দিয়ে খেলেছি। শেষ বল পর্যন্ত লড়েছি। আমরা এটাই চেয়েছি।’

ফাইনাল ম্যাচ জিততে না পারার পেছনে দায়ও স্বীকার করেছেন মাশরাফি। উদ্বোধনী জুটি বড় স্কোরের আভাস দিলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তা হয়নি। বোলিংয়েও হয়েছে খুটখাট ভুল। মাশরাফির মতে, ‘ব্যাটিংয়ে যেমন ভুল করেছি, বোলিংয়েও। তবে এই টুর্নামেন্টে যদি আমাদের বোলারদের দিকে তাকান, বেশিরভাগ সময়ই ২৪০ রান করে আমরা জিতেছি। ব্যাটসম্যানদের কাছে আজ এটাই চেয়েছিলাম। শেষমেশ বোলাররা সত্যি অসাধারণ করেছে।’

শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৬ রান। অথচ বাংলাদেশের পেসারদের কোটা তখন শেষ। বল করতে হলো পার্ট টাইম স্পিনার মাহমুদউল্লাহকে। যদিও এর আগে বল হাতে প্রস্তুত হতে দেখা যায় সৌম্যকে। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলান মাশরাফি।

এ প্রসঙ্গে মাশরাফির ব্যাখ্যা, ‘আমিও আলোচনা করেছি বিষয়টা নিয়ে। ভারত যেভাবে রান করছিল মোস্তাফিজকে ৪৯তম ওভারেই আনা দরকার ছিল। ওরা প্রায় প্রতি বলে রান করছিল। এ পর্যায়ে আমি স্পিনার আনতে চাইনি। ওরা আজ খুব একটা ভালো করেনি।’

অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যেভাবে এশিয়া কাপের ফাইনালে এসেছে দল, ফাইনালে লড়েছে শেষ বল পর্যন্ত, তাতে দারুণ গর্বিত মাশরাফি। তবে টুর্নামেন্ট জুড়ে যেসব ভুল করেছে দল, তা থেকে শেখার তাগিদও জানিয়েছেন তিনি।

তার মতে- ‘হ্যাঁ, ছেলেরা যেভাবে খেলেছে গর্ব করাই যাই। তবে আমাদের আরো অনেক কিছু শিখতে হবে। এ ধরনের টুর্নামেন্টে আমাদের এখনো লড়াই করতে হচ্ছে। টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাটিং ততটা ভালো হয়নি। আজ (গতকাল) এত ভালো শুরুর পর আরো বড় স্কোর গড়া উচিত ছিল। বোলাররা প্রায় সব ম্যাচেই ভালো করেছে। আজো চেষ্টা করেছে। অবশ্যই গর্ব আছে। তবে এখান থেকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।’

সাকিব-তামিমের চোট ছিল দলের জন্য ধাক্কা। মাশরাফির মতে, ‘সাকিব ও তামিমকে না পাওয়া ছিল অবশ্যই বড় ধাক্কা। ওদেরকে ছাড়াও দল যেভাবে খেলেছে, তাতে ছেলেদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। তবে যেটা বললাম, আরেকটু ভালো খেললে আরো ভালো হতে পারত।’

এশিয়া কাপের তিন ফাইনালে হার। সব মিলিয়ে ছয়টি ফাইনালে ব্যর্থতার গল্প। হয়নি তিন জাতি কিংবা এর চেয়ে অধিক দলের টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের স্বাদ। অপেক্ষার প্রহর বাড়ছে ক্রমেই। তবে ভক্তদের বিশ্বাস, স্বপ্নের শিরোপায় চুমু খাওয়ার দিন খুবই কাছে। কারণ, বাংলাদেশ এখন ক্রিকেট বিশ্বে সব দলের জন্য হুমকিস্বরূপ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads