• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
তবু মাশরাফির চোখে চ্যালেঞ্জ

মাশরাফি বিন মুর্তজা

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

তবু মাশরাফির চোখে চ্যালেঞ্জ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২১ অক্টোবর ২০১৮

প্রায় নয় মাস পর আবারো হোম সিরিজের উত্তেজনা। টাইগার ভক্তদের রোমাঞ্চিত হওয়ার উপলক্ষ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, এরপর সিলেট ঘুরে আবার ঢাকা। তিনটি ওয়ানডে, দুই টেস্ট। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। আজ মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে বেলা আড়াইটায় বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা শিবির। তবে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই কি উত্তেজনার পারদটা ঠিক ওপরে উঠছে না। দুই শিবিরে কথার লড়াই একেবারে নেই। তবে ২২ গজের কমব্যাট জোনে দেখা মিলতে পারে আসল ঝাঁজ। যেখানে জয়ই মূল লক্ষ্য দুই দলের।

গত নয় মাসে তিনটি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। হারতে হয়েছে তিনটিতেই। জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হার। নিদাহাস টুর্নামেন্টে ভারতের কাছে আফসোস জাগানিয়া হার। সবশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে সেই ভারতের সঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ। তবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ক্যারিবীয় সফরে রয়েছে সুখস্মৃতি। টেস্টে বাজে হার থাকলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের মাহাত্ম্য ছাড়িয়ে গেছে পেছনের ইতিহাস। গত নয়টা মাসে বড় বড় দলের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে খেলেছেন মাশরাফিরা। বাংলাদেশের সামনে এবার জিম্বাবুয়ে।

এমন দলের সঙ্গে হেসেখেলে জেতা উচিত। ভক্তদের ধারণা এমনই। তবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমন ধারণাকে নাকচ করে দিয়েছেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার চোখে চ্যালেঞ্জের আভা। হোক না সে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। যদিও ঘরের মাঠে এই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে শেষ ১৩ ম্যাচ হারেনি বাংলাদেশ। সবশেষ হার সেই ২০১০ সালে। কিন্তু মাশরাফির মতে, প্রতিটি ম্যাচই চ্যালেঞ্জের। তিনি বলেন, ‘সবার প্রত্যাশা আমরা জিতব। সেটাই খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় অন্য দলের সঙ্গে যেই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে খেলেছি, এখানেই তেমন থাকবে। আর ওদের প্রায় সব সিনিয়র প্লেয়ার কাম ব্যাক করেছে। আর জিম্বাবুয়ে দলের সবচেয়ে ভালাি রেকর্ড বাংলাদেশের মাটিতেই। সুতরাং আমাদের ১০০ ভাগ দিয়েই খেলতে হবে। হয়তো জিতলে সবাই বলবে, এটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হারলে ভিন্ন কথা হবে, এটাই স্বাভাবিক।’

মাশরাফির কথায় দারুণ যুক্তি। এটা মানতেই হবে। আবার বাংলাদেশ দলে এই মুহূর্তে নেই দুই ভরসার নাম সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। তবে এই দুজনের না থাকাটা আগেই সবার জানা। সে কারণে টিমের পরিকল্পনায়ও এসেছে পরিবর্তন। টিম কম্বিনেশন কেমন হবে প্রথম ওয়ানডেতে। মাশরাফির মতে, সেরা দলটাই খেলবে। এশিয়া কাপের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপে দলের ওপর দিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা গিয়েছে। এক এক ম্যাচে এক একজন করে অসুস্থ হচ্ছিল। দুজন তো বাদই পড়ে গিয়েছিল। এখন আমরা জানি ওই দুজন খেলবে না। রুবেল হাসপাতালে ছিল, এটাও আপনারা জানেন। ইনজুরির দিক থেকে একটা জায়গা নিয়ে চিন্তা আছে। এছাড়া চেষ্টা থাকবে সেরা দলটাই গড়া। আর যেকোনো সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রথম ওয়ানডের আগে মিরপুরের উইকেট নিয়ে কিছুটা সন্দিহান মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই কঠিন। এই উইকেট ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে। তবে প্রত্যাশা করছি, ২৫০-২৬০ রান হলে ম্যাচ ভালো হয়, আগে ব্যাট করা দলের জেতার সুযোগ বেশি থাকে। শুরুতেই যে স্লো বা টার্ন হবে, এমন আশা অবশ্যই করছি না। ভালো উইকেটে খেলতে চেয়েছি, এখন ভালো উইকেট হলেই হয়।’

বিকেএসপিতে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের সঙ্গে ৮ উইকেটে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। যেখানে বাংলাদেশের পেসাররা সবচেয়ে ভালো করেছে। সেখানে প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে স্পিন না পেসে ঘায়েল করার পরিকল্পনা দলের। এমন প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেন, ‘শেষ তিন-চার বছরে আমরা ৯৯ ভাগ সময় তিনজন ফাস্ট বোলারকে ব্যাকআপ করেছি যেকোনো অবস্থায় ও যেকোনো উইকেটে। আমরা পেস বোলিংকে সব সময় প্রাধান্য দিয়েছি। একই সঙ্গে উপমহাদেশ ও মিরপুরের উইকেটে স্পিনের বড় ভূমিকা থাকে। আমরা স্পিন দিয়ে তাদেরকে এর আগে অনেক সময় অল আউট করেছি। এটা অবশ্যই আমাদের মাথায় আছে এবং থাকবে।’

দলের ইনজুরি প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘মুশফিক ভালো ফিল করছে। রুবেল হাসপাতাল থেকে এসেছে কালকে। গায়ে জ্বর ছিল, অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছে। ওরটা ফিজিও ক্লোজ লুক করছেন শেষ পর্যন্ত কী অবস্থা হয়। এছাড়া টিমের সবাই ভালো অবস্থায় আছে। আর যে দুজন নেই (সাকিব ও তামিম), তারা তো অনেক আগে থেকেই নেই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads