• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টায় ইমরুল

সিরিজ সেরা পুরস্কার হাতে ইমরুল কায়েস

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টায় ইমরুল

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৮ অক্টোবর ২০১৮

যেই ইমরুল কায়েসকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল এক সময়, সেই তিনিই এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অসাধারণ খেলে সিরিজ সেরা পুরস্কার জিতে নিলেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, কারো কথায় তিনি আতঙ্কিত নন, আর চেষ্টা করবেন টানা তিন ম্যাচে ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে বজায় রাখার।

তিন ম্যাচে ৩৪৯ রান করেন ইমরুল। পুরো সিরিজে ধারাবাহিকভাবে ব্যাট হেসেছে অভিজ্ঞ এই ওপেনারের। যদিও ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে ভক্তদের আশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তো সমালোচনার বাণে বিদ্ধ হয়েছেন প্রতিকূল সময়ে। সেই কথাগুলো আক্ষেপ নিয়েই বললেন তিনি।

আক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে আবার আত্মবিশ্বাসের ঝাঁজটাও টের পাওয়া গেল তার কথায়। সিরিজ সেরা ৩৪৯ রান করার পর ইমরুল বললেন, মানুষের নেতিবাচক কথায় আতঙ্কিত হন না তিনি, ‘ম্যাচটা জেতাতে পেরে বেশি ভালো লাগছে। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটা অন্যতম বড় প্রাপ্তি। আমি চেষ্টা করব এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। মানুষ অনেক কথাই বলে, আমি ধারাবাহিক নই। কিন্তু আমি জানি কোথায় কোথায় আমি রান করি। মানুষের কথা নিয়ে আমি আতঙ্কিত নই।’

১৪৪, ৯০ ও ১১৫ হচ্ছে তিন ম্যাচে ইমরুলের ইনিংসগুলো। ক্যারিয়ারে কখনোই এতটা ধারাবাহিক ছিলেন না। স্বাভাবিকভাবেই এই ধারাবাহিকতার রহস্য জানতে চাওয়া হয়। ইমরুল কিছুটা বিরক্তি নিয়েই বললেন- ‘ভাই, আমাকে খেলতে দেন, আমি অত কিছু জানি না। এত বড় খেলোয়াড় এখনো হইনি। তিনটা ম্যাচ ভালো খেলেছি, চেষ্টা করব বাকি ম্যাচগুলো ভালো খেলতে।’

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচে ৯০-এর ঘরে আউট হয়েছিলেন। শুক্রবারও ৯০-এর ঘরে গিয়ে খানিকটা নড়বড়ে ছিলেন। ওই সময় তার মনে কী চলছিল জানতে চাইলে বলেন, ‘আগের ম্যাচে নিজের কাছে একটু বেশি প্রত্যাশা ছিল। পর পর সেঞ্চুরি করব, এই চাপটা নিতে পারিনি। কিন্তু এবার ৯০-এর পর কোনো চাপ অনুভব করিনি। ভেবেছি ইনিংসটা শেষ করব, সেঞ্চুরি হোক বা না হোক। যখন ৯০ রানে ছিলাম দলের জেতার জন্য যথেষ্ট রান ছিল, টিকে থাকলে এমনিতেই সেঞ্চুরি হয়ে যাবে।’

বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টানা তিন সেঞ্চুরির মালিক হতে পারতেন ইমরুল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ৯০ রানে আউট হয়ে সেই সুযোগটা হারিয়েছেন। তাই বলে আক্ষেপে পুড়ছেন না তিনি, ‘আমি শূন্য রানে আউট হতে পারতাম। তিন ম্যাচে রান পেয়েছি, এটাই স্বস্তিকর। তিনটা সেঞ্চুরি হলে ভালো লাগত। যেহেতু বাংলাদেশের কেউই এই রেকর্ড গড়তে পারেনি। বাংলাদেশি হিসেবে আমি প্রথম করতাম, আমার একটা সুযোগ ছিল। ওই ম্যাচে আমারো খারাপ লাগছিল। চিন্তা করেছিলাম আবার কখনো ৯০-এর ঘরে গেলে ভুল করব না।’

ধুম-ধারাক্কা ব্যাটিং করতে পারদর্শী সৌম্য সরকার। ক্রিজে তার থাকা মানেই অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানের চাপ কমে যাওয়া। ইমরুলও জানালেন সেই কথা, ‘সৌম্যর সঙ্গে যখন ব্যাট করি চাপ থাকে না। ও অনেক স্ট্রোক খেলে। যার কারণে আমার কিছু বল ডট হলেও সমস্যা হয় না।’

সৌম্যর ১১৭ রানের ঝড়ো ইনিংসের প্রশংসা করতে ভুললেন না ইমরুল। সতীর্থের এমন প্রত্যাবর্তন ইনিংস দলের জন্যই মঙ্গলজনক বলে মনে করেন তিনি, ‘ওর মতো খেলোয়াড় যেদিন খেলবে সেদিন বোলারদের কিছুই করার থাকে না। সৌম্য যেভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে, এটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের দলের জন্যই ভালো হবে।’

টিম ম্যানেজমেন্ট ওপেনিং নিয়ে চিন্তায়। তেমন পরিস্থিতিতে দলের সব ওপেনারই এখন ফর্মে আছেন। তামিম ফিরলে তার সঙ্গী হবেন কে, এটাই এখন চিন্তার বিষয়। তুমুল এই প্রতিযোগিতা নিয়ে ইমরুল জানালেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই তামিম বাংলাদেশের গ্রেট প্লেয়ার। আসলে কে কোথায় খেলবে এটা টিম ম্যানেজমেন্টই সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের কাজটা আমরা যখন মাঠে নামি শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করি। এমন প্রতিযোগিতা আমাদের দলের জন্য ভালো। বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা থাকলে বিশ্বকাপে ভালো ফল আশা করা সম্ভব।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads