মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেটে আজ দেখা গেল টাইগার পেসারদের জয়জয়কার। বল হাতে ঝলসে উঠলেন মাশরাফি-মুস্তাফিজ-রুবেলরা। টাইগারদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে সফরকারীরা। তিন পেসার তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সমান সংখ্যক উইকেট তুলেছেন মাশরাফিও। আর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী মিরাজ, সাকিব আল হাসান এবং রুবেল হোসেন।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ছয় নম্বর উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল।
দুই ওপেনার কাইরন পাওয়েল আর শাই হোপ মিলে বুঝে শুনেই শুরু করেছিলেন। কিন্তু অষ্টম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২৯ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানের বলে ফিরে যান কাইরন। বাম-হাতি এই ওপেনার রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে করেন ২৭ বলে ১০ রান।
শুরুটা সাকিব করলেও মাশরাফি ছিলেন দুর্দান্ত। ২০.৪ ওভারের সময় তামিমের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ড্যারেন ব্রাভোকে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৪৩ রান করা ওপেনার শাই হোপকেও ফেরান মাশরাফি। মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হোপ।
১০ ওভার বল করে মাশরাফি দিয়েছেন ৩০ রান, নিয়েছেন ৩ উইকেট। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৩.০০ করে।
ক্যারিবীয়দের দলীয় ১১৯ রানের মাথায় রভম্যান পাওয়েলকে ফেরান টাইগার অধিনায়ক। ১৪ রান করা পাওয়েল ক্যাচ দেন লিটন দাসের হাতে।
ক্যারিবীয়রা ৫০ ওভার ব্যাটিং করলেও টাইগারদের বোলিং তোপে ১৯৫ রান পর্যন্ত তুলতে পারে ৯ উইকেট হারিয়ে।
মাশরাফি একা নন, তিন উইকেট নেন আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। রোস্টন চেজ, কেমো পল আর দেবেন্দ্র বিষুর উইকেট নেন কাটার মাস্টার। মুস্তাফিজ দেন ১০ ওভারে ৩৫ রান।
আজ বাংলাদেশ একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এসেছে। দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও রুবেল হোসেন। এ সিরিজে তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ওয়ানডে হবে ১১ ডিসেম্বর। আর ১৪ ডিসেম্বর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হবে সিলেটে। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে যথাক্রমে ১৭, ২০ ও ২২ ডিসেম্বর।