• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
সুপার ওভারে সুপার জয় চিটাগংয়ের

সুপার ওভারে রোমাঞ্চকর জয়ের পর খুশিতে ফ্রাইলিঙ্কের কোলে চেপে বসেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ক্রিকেট

সুপার ওভারে সুপার জয় চিটাগংয়ের

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

ম্যাচের নিষ্পত্তি হতে পারত নির্ধারিত ওভারেই। কিন্তু না। হলো ম্যাচ টাই। যা বিপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। মানে এক ওভারের খেলা। যেখানে শেষ হাসি চিটাগং ভাইকিংসের। মাত্র ১ রানে হেরে যায় খুলনা টাইটান্স। বিপিএলে টানা চতুর্থ হারে খাদের কিনারায় মাহমুদউল্লাহ শিবির। অন্যদিকে তিন ম্যাচে দুই জয়ে টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত মুশফিক বাহিনীর।

মিরপুরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫১ রান করে খুলনা টাইটান্স। জবাবে চিটাগং ভাইকিংসও করে ১৫১, ৮ উইকেটে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য চিটাগংয়ের দরকার ছিল ১৯ রান। কিন্তু দলটি তিন ছক্কায় তুলতে পারে ১৮ রান। ম্যাচ টাই। তখন অপেক্ষা সুপার ওভারের।

এক ওভারের উত্তেজনায় কাঁপছে তখন গোটা মিরপুর। আগে ব্যাট করতে নামে চিটাগং ভাইকিংস। খুলনার বোলার জুনায়েদ খান। এক ওভারে দুটি চারে ১ উইকেটে মোট ১১ রান তোলে চিটাগং। জিততে হলে খুলনার দরকার তখন ১২ রান। যা অনেকটা নাগালের মধ্যেই ছিল। কিন্তু তা হতে দেননি চিটাগংয়ের বিদেশি ক্রিকেটার রবি ফ্রাইলিঙ্ক। সুপার ওভারে তিনি আসেন বল করতে। দেন মাত্র ১০ রান। রুদ্ধশ্বাস জয় পায় চিটাগং ভাইকিংস। শেষ ওভারে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ টাই করেন মূলত ফ্রাইলিঙ্কই। আবার বল হাতে সুপার ওভারেও দেখান তিনি চমক। অনুমিতভাবে তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে আসা প্রোটিয়া এই ক্রিকেটার।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনার হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন আইরিশ তারকা পল স্টার্লিং এবং জুনায়েদ সিদ্দীকি। স্টার্লিং ১০ বলে ১৮ আর জুনায়েদ ১৫ বলে করেন ২০ রান। তিন নম্বরে নামা ডেভিড মালান ৪৩ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৪৫ রান। দলপতি মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে চারটি বাউন্ডারিতে করেন ৩৩ রান। কার্লোস ব্রাফেট ইনজুরি থেকে ফিরে করেন ৫ বলে ১২ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ৬, আরিফুল হক ৯* আর অভিষিক্ত মাহিদুল অঙ্কন ৪* রান করেন। ভাইকিংসের পেসার রবি ফ্রাইলিঙ্ক ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। সানজামুল ৪ ওভারে ৩৭ রানে নেন দুটি উইকেট। এছাড়া নাঈম হাসান, খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ একটি করে উইকেট লাভ করেন।

১৫২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামেন চিটাগং ভাইকিংসের আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবং ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। শাহজাদ ১০ আর ডেলপোর্ট ১৭ রানে বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা ইয়াসির আলি খেলেন ৩৪ বলে দুটি চার-ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংস। দলপতি মুশফিক ২৬ বলে একটি বাউন্ডারি আর দুটি ওভার বাউন্ডারিতে করেন ৩৪ রান। সিকান্দার রাজা ০, মোসাদ্দেক হোসেন ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রানের দরকার ছিল ভাইকিংসদের। বোলার ছিলেন খুলনার আরিফুল হক। প্রথম বলে নাঈম হাসান কোনো রান নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেওয়ার আগে নাঈম করেন ৮ রান। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান ফ্রাইলিঙ্ক। পঞ্চম বলেও ছক্কা। শেষ বলে এক রান দরকার ছিল ভাইকিংসের। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফ্রাইলিঙ্ক আরিফুলের শেষ ডেলিভারিটি ব্যাটেই লাগাতে পারেননি, এমনকি উইকেটরক্ষকের  গ্লাভসে বল জমা হলেও জয়ের জন্য সিঙ্গেল রানটি নিতে যেন দৌড় দিতেই ভুলে যান। পরে দৌড় দিলেও নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে পৌঁছানের আগেই রান আউট হন ১৩ বলে ২৩ রান করা ফ্রাইলিঙ্ক। ৮ উইকেট হারিয়ে টাইটান্সের সমান ১৫১ রান করে ভাইকিংস। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। খুলনার হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন কার্লোস ব্রাফেট ও শরিফুল ইসলাম। দলে নতুন যোগ দেওয়া পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট। তাইজুল ইসলাম ও আরিফুল হক পান একটি করে উইকেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads