• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
তারকাবিহীন ঢাকা ক্রিকেট লিগ!

লোগো ঢাকা ক্রিকেট লিগ

ক্রিকেট

তারকাবিহীন ঢাকা ক্রিকেট লিগ!

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা আছেন টানা খেলার মধ্যে। জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে বিপিএল। এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই জাতীয় দল উড়াল দেবে নিউজিল্যান্ডে। সেখান থেকে ফেরার পর আয়ারল্যান্ড সফর ও বিশ্বকাপের আগে ছোট্ট একটা সময় পাবেন খেলোয়াড়রা। এদিকে ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। এবারের লিগ হবে জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড়দের ছাড়াই। কারণ ছোট্ট ওই বিরতিতে ঢাকা লিগে খেলতে রাজি নন তারা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিকল্পনা করেছিল, এই স্বল্প সময়েই ঢাকা লিগে যতটুকু সম্ভব অংশ নেবেন তারকা ক্রিকেটাররা। কিন্তু জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা অন্তত এই ভয়ানক ব্যস্ততার মাঝে ঢাকা লিগ খেলতে চাচ্ছেন না। তাদের প্রধান কোচ স্টিভ রোডসও এই সময়ে বিশ্রামে রাখতে চান খেলোয়াড়দের। ফলে অনেক দিন পর জাতীয় দলের তারকাদের ছাড়াই এবার মাঠে গড়াতে পারে ঢাকা লিগ।

তামিম ইকবাল এরই মধ্যে বিসিবিকে একটা চিঠি দিয়ে ঢাকা লিগ খেলার ব্যাপারে নিজের অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তামিমের এই চিঠি পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বললেন, তারা কোচের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবেন করণীয়টা।

আকরাম বললেন, সিনিয়র খেলোয়াড়দের যে বিশ্রাম দেওয়া হবে, এটা নিশ্চিত, ‘তামিম এ রকম একটা চিঠি দিয়েছে। আমরা সেটা বিবেচনা করব। আসলে কোচের সঙ্গে দুই-তিন দিনের মধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে আমরা বসব। তার সুপারিশটা কী শুনব। শুধু তামিম নয়, আমরা হয়তো বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিতে পারি এই সময়ে।’

যদিও ভেতরের কিছু সূত্র বলছে, কোচ এরই মধ্যে তার মত জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি চান না বিশ্বকাপের আগে এত ক্রিকেট খেলার পর তার খেলোয়াড়রা আবার ঢাকা লিগের চাপ নিক। তিনি জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারের অন্তত দুই সপ্তাহ ছুটির জন্য সুপারিশ করেছেন বলে জানা গেছে। এমন যদি হয়, তাহলে ঢাকা লিগ এবার অনেকটাই আকর্ষণ হারাবে।

ঢাকা লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ অবশ্য বললেন, জাতীয় দলের স্বার্থে এই ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছেন তারা। এই কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘ক্রিকেটাররা টানা খেলার মধ্যে আছেন। তাদের বিশ্রামের বিষয়টা আমাদের দেখতে হবে। কারণ, সামনেই থাকবে তখন বিশ্বকাপ। আমরা কোনোভাবেই বিশ্বকাপের আগে আমাদের খেলোয়াড়দের নিয়ে ঝুঁকি নিতে পারি না। ফলে ক্রিকেট অপারেশন্স বা কোচ যদি এ রকম বলেন, আমরা সেটা অবশ্যই মেনে নেব।’

এ ক্ষেত্রে একটা সমস্যা থেকে যায় যে, ক্লাবগুলো এ অবস্থায় লিগে রাজি হবে কি না। তৌহিদ মাহমুদ অবশ্য মনে করেন, এটা একটা জাতীয় স্বার্থের ব্যাপার। আর এমন একটা ব্যাপার সামনে এলে ক্লাবগুলো অবশ্যই সহায়তা করবে, ‘আমরা তো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। তাই ক্লাবগুলোর মতও জানতে পারিনি। তবে এ ব্যাপারটা হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থ জড়িত।

বিশ্বকাপে খেলাটা যেকোনো ঘরোয়া আয়োজনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের ক্লাবগুলো ক্রিকেটের স্বার্থেই কাজ করে। ফলে আমি নিশ্চিত তারা এ রকম ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত যা হবে, তাই মেনে নেবে।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads