• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
টাইগারদের কিউই মিশন

নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে বিমানে ওঠার আগে গতকাল বিমানবন্দরে সাব্বির-নাঈম হাসানদের সেলফি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ক্রিকেট

ম্যানেজার হিসেবে রোমাঞ্চিত পাইলট

টাইগারদের কিউই মিশন

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নিউজিল্যান্ড গেল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম ভাগ। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সিরিজটি খেলতে প্রথম পর্বে ওয়ানডে স্কোয়াডের একাংশ গতকাল বুধবার দুপুরে নিউজিল্যান্ডগামী বিমানে চড়ে। দলের সঙ্গে কোচ স্টিভ রোডস এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলটও গেছেন নিউজিল্যান্ডে। নতুন দায়িত্বে রোমাঞ্চিত পাইলট।

অনেক আগে থেকেই বিসিবির পরিকল্পনা ছিল সফরে দলকে দুই ভাগে ভাগ করে পাঠানোর। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যাদের দল বিপিএলের শেষ চারে খেলতে পারেনি তাদেরকে নিয়ে গতকাল দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট দেশ ছেড়েছে। এই বহরে আছেন মোট ৮ ক্রিকেটার। ক্রিকেটাররা হচ্ছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, নাঈম হাসান ও লিটন দাস।

নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টেস্ট খেলবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে নেপিয়ারে। এরপর সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ক্রাইস্টচার্চে ১৬ ফেব্রুয়ারি ও তৃতীয় ওয়ানডে ২০ ফেব্রুয়ারি ডুনেডিনে। ওয়ানডের পর টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

সেই ২০০১ সালে অধিনায়ক হিসেবে পাইলট গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে। ১৮ বছর পর আবার জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে যাচ্ছেন সেই নিউজিল্যান্ডে। তবে এবার তার পরিচয়- বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার, যা পাইলটের কাছে নতুন এক রোমাঞ্চ।

বিপিএলের ব্যস্ততার কারণে সব ক্রিকেটার একসঙ্গে নিউজিল্যান্ড সফরে রওনা দিতে পারছেন না। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মতো অনেকেরই এখনো খেলা শেষ হওয়া বাকি। এদের রেখেই গতকাল বুধবার ১১ সদস্যের একটা দল রওনা হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে। বাকিরা বিপিএল শেষে শনিবার রাতে রওনা দেবেন। গতকাল রওনা হওয়া এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ম্যানেজার পাইলট।

পাইলটের জন্য ম্যানেজারের কাজটা একেবারে নতুন, তা বলা যাবে না। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের এমার্জিং দলের ম্যানেজার হিসেবে পাকিস্তান সফর করে এসেছেন। তারপরও জাতীয় দলের দায়িত্ব এই প্রথম। পাইলট বলেন, এটা ভিন্ন ধরনের একটা রোমাঞ্চ- ‘এটাকে খেলোয়াড়ি জীবনের সঙ্গে মেলানো যাবে না। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সফর বা প্রথম অধিনায়ক হিসেবে সফরের একটা অন্য ধরনের এক্সাইটমেন্ট ছিল। আর এখন ব্যাপারটা হলো এতগুলো মানুষ, এত খেলোয়াড়, সবার আলাদা আলাদা চাহিদা আছে; সবকিছু ঠিকমতো সামলাতে হবে। এখনকারটা একটা চ্যালেঞ্জ বলতে পারেন।’

চ্যালেঞ্জটা সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড়দের জন্য। নিজের অধিনায়কত্ব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই পাইলট জানেন, নিউজিল্যান্ড সফর করার জন্য কত কঠিন একটা জায়গা। ফলে খেলোয়াড়দের জন্য এটা যে ভয়ানক একটা চ্যালেঞ্জ হবে, তা পাইলট স্বীকার করে নিলেন- ‘নিউজিল্যান্ড যেকোনো দলের জন্যই কঠিন জায়গা। যদিও ভারত এবার দারুণ করেছে ওখানে। তারপরও ওই কন্ডিশনে ভালো করাটা সহজ নয়।’

তবে পাইলটের বিশ্বাস, তার দল এখানে ভালো কিছু করতে পারবে। যদিও খেলোয়াড়রা একদমই বিশ্রাম পাচ্ছেন না বিপিএল শেষে। সেই সঙ্গে বিপিএলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দুর্বল হওয়াটাও একটা দুশ্চিন্তা।

কিন্তু পাইলট বলছেন, এখনকার দলের মনোবল এতটাই ভালো যে, তারা এসব ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারবে- ‘আরেকটু বিশ্রাম পেলে ভালো হতো ছেলেদের জন্য। সেটা খুব একটা সমস্যা হবে না। কারণ, ওরা খেলার মধ্যেই ছিল। হ্যাঁ, অনেকে হয়তো তেমন ভালো করতে পারেনি বিপিএলে। কিন্তু আমাদের এই টিমটা খুব প্রতিভাধর। ফলে আমার ধারণা এখানে ওরা খুব ভালো মানিয়ে নিতে পারবে। বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে যেমন উইকেট হয়, তাতে আমি আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা দেখছি।’

এই সফরটা বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য আদর্শ একটা ব্যাপার হতে যাচ্ছে বলে পাইলটের বিশ্বাস। তার মতে, এই সফরেই বিশ্বকাপের মোমেন্টাম পেয়ে যেতে পারে দল- ‘নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের অনেক মিল আছে। এখানে আমরা দেড় মাসের ট্যুর করব। কমবেশি এই দলই বিশ্বকাপ খেলবে। ফলে আমি মনে করি, এখানকার অভিজ্ঞতা ছেলেদের খুব উপকৃত করবে বিশ্বকাপে।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads