বাংলাদেশের গৌরবময় ক্রিকেটের সঙ্গে যে ক’জন খেলোয়াড়ের নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, তার মধ্যে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। আগামীকাল শনিবার ভোরে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০তম ম্যাচ খেলতে নামবেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে শুধু বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাই ২০০ ম্যাচ খেলেছেন।
২০০৬ সালের ৬ আগস্ট হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হয় মুশফিকের। তার টেস্টে অভিষেক ২০০৫ সালে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে। আর মুশফিকের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচে।
অভিষেক হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ দলের নিয়মিত সদস্য তিনি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন মুশফিক। ২০১১ সালে আরো বড় দায়িত্ব পান তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মনোনীত হন মুশফিক। ২০১৭ সাল পর্যন্ত টেস্ট দলের অধিনায়ক থাকলেও ২০১৪ সালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব থেকে মুশফিককে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তারপরও দলের ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড বগুড়ার ছেলে মুশফিক। কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও দলকে বহু ম্যাচে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন তিনি। এমনকি কিছু ম্যাচে জয়ের কাজটা দায়িত্ব নিয়েই সেরেছেন ৩১ বছর বয়সী মুশফিক।
এখন পর্যন্ত ১৯৯ ওয়ানডেতে ৬টি সেঞ্চুরিতে ৫৩৫১ রান করেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান মুশফিক। ব্যাটিং গড় ৩৪ দশমিক ৭৪। উইকেটের পেছনে ১৬৪টি ক্যাচ ও ৪২টি স্টাম্পিং করেছেন মুশফিক। এ ছাড়া ৬৬টি টেস্টে ৪০০৬ রান ও ৭৭টি টি-টোয়েন্টিতে ১১৩৮ রান করেছেন মুশফিক। তিনি টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কখনো বোলিং করেননি। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মুশফিক মোট ১২ ওভার বল করেছেন। সেখানে ৩৪ রান দিয়ে পেয়েছেন ১টি মাত্র উইকেট।
