হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সফরকারী বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতায় ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে পজিটিভ কিছু দেখছেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সেই সঙ্গে তিনি মনে করেন, ব্যাটিং পিচ থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রথম ইনিংসে ভালো স্কোর করার সুযোগ হারিয়েছি।
গতকাল রোববার টেস্টের চতুর্থ দিন ইনিংস ও ৫২ রানে হার মানে বাংলাদেশ। তবে ইতিবাচক কথা হচ্ছে- দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ খেলে সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি তুলে নেন। আর প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবাল সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি করেন। আর এ ব্যাপারগুলো নিয়েই পরের টেস্টে ভালো করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলপতি।
গতকাল ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের ব্যাটিং ও প্রতিপক্ষের বোলিং মূল্যায়ন করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ফাস্ট আওয়ারে ব্যাটিং করার সময় চিন্তা করছিলাম সহজেই যেন উইকেটটা না দেই। কেননা, ওই সময়টুকু সার্ভাইভ করতে পারলে অ্যাটলিস্ট ভালো খেলতে পারব। আমার মনে হয় ওরাও ডিফারেন্ট ফেজে ভালো বোলিং করেছে। ওরা বাউন্সগুলো ট্রাই করছিল। আবার যদি আপনি সাউদি ও বোল্টের কথা চিন্তা করেন ওরা নতুন বলে সুইং করানোর চেষ্টা করছিল। এটাই আসলে ওদের সাধারণ প্রক্রিয়া। আর বলটা একটু পুরনো হয়ে গেলে ওরা শর্ট মারার চেষ্টা করে। তো হোপফুলি এটা আমাদের ব্যাটসম্যানদের একটা আইডিয়া হয়ে গেছে। দ্বিতীয় টেস্টে যেন আমরা এগুলো চিন্তা করে ব্যাটিং করতে পারি।’
এদিকে প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত হিসেবেই এমন হার বলে মনে করেন দলের সিনিয়র এই ব্যাটসম্যান। তবে তিনি প্রশংসা করতে ভুললেন না অভিষেক সেঞ্চুরি পাওয়া সৌম্যর। ‘ওই সময়টাতে সৌম্যর ভূমিকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে খুব ফ্লুয়েন্টলি ব্যাটিং করছিল। তার চান্সগুলো সে কাজে লাগাচ্ছিল। মনে করেন একজন বোলার ভালো বাউন্সি মারছে বা ভালো লাইন-লেংথে বোলিং করছে, একই সময় আপনি ধরেন ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চার-পাঁচ রান তুলছেন, তখন এটি বোলারের জন্য হতাশার। ওই কাজটাই সৌম্য খুব ভালো করছিল। আমাদের ব্যাটিং পার্টনারশিপটা ভালোই যাচ্ছিল। তবে আমার মনে হয় ব্যাটিং পিচ হওয়ার পরও প্রথম ইনিংসটায় আমরা সুযোগ হারিয়েছি। প্রথম ইনিংসে আরেকজন যদি কেউ ইনিংস বড় করতে পারত, তবে এখন হয়তো গল্পটা অন্যরকম হতো। তবে আশা করি ব্যাটসম্যানদের জন্য আমরা পজিটিভ কিছু নিয়ে যেতে পারছি দ্বিতীয় টেস্টে।
