• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
পিএসজির বিদায় নিজ মাঠেই

পিএসজিকে হারিয়ে শেষ আটে ওঠার আনন্দে মাতোয়ারা ম্যানইউ খেলোয়াড়রা

ছবি : ইন্টারনেট

ক্রিকেট

পিএসজির বিদায় নিজ মাঠেই

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৮ মার্চ ২০১৯

নেইমার না থাকায় কিছুটা হলেও এলোমেলো হয়ে পড়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ক্লাব। তার প্রমাণ মিলেছে বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে। হাস্যকর দুটি ভুলে প্রথমার্ধেই দুই গোল হজম করে বসে পিএসজি। তারপরও দুই লেগ মিলিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে লক্ষ্য পূরণের পথেই ছিল তারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় পাল্টে গেল পুরো চিত্র। প্যারিসের দলটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

প্রতিপক্ষের মাঠে শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে ৩-১ গোলে জিতে ইংলিশ ক্লাবটি। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে এক গোল বেশি করে পরের রাউন্ডের টিকেট পায় উলে গুনার সুলশারের দল। প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছিল পিএসজি।

রোমেলু লুকাকুর গোলে ইউনাইটেড এগিয়ে যাওয়ার পর পিএসজিকে সমতায় ফেরান হুয়ান বের্নাত। কিছুক্ষণ পর লুকাকুর দ্বিতীয় গোলে আবারো এগিয়ে যায় অতিথিরা। আর শেষ দিকে মার্কাস রাশফোর্ডের স্পট কিকে পরের রাউন্ডের টিকেট পায় তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে পিএসজির জার্মান ডিফেন্ডার টিলো কেরার এক লক্ষ্যহীন ব্যাকপাস করে বসেন। বলের ধারেকাছে ছিলেন না গোলরক্ষক বুফন কিংবা ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। ছুটে গিয়ে বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে জিয়ানলুইজি বুফনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে দেন লুকাকু।

শুরুর ধাক্কা দ্রুতই সামলে ওঠে স্বাগতিকরা। ১০ মিনিট বাদে সমতাসূচক গোলও আদায় করে নেয় তারা। ডি-বক্সে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বাঁ দিকে পাস দেন কিলিয়ান এমবাপে। গোলমুখে ফাঁকায় বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বের্নাত।

আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে পরপর দুই মিনিটে দুটি সুযোগ নষ্ট হয় পিএসজির। গোল করার মতো পজিশনে বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন বের্নাত আর অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার দূরপাল্লার শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়।

আসরের সবচেয়ে বেশি বয়সী গোলরক্ষক বুফনের মারাত্মক ভুলে ৩০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে পিএসজি। রাশফোর্ডের সোজাসুজি শট ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান অভিজ্ঞ ইতালিয়ান গোলরক্ষক। ছুটে এসে আলগা বল জালে ঠেলে দেন লুকাকু। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে শেষ তিন ম্যাচের প্রতিটিতে দুটি করে গোল করলেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড লুকাকু।

দ্বিতীয়ার্ধে একচেটিয়া বল দখলে রেখে আক্রমণ করতে থাকে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ররা। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। ৫৫ মিনিটে ডি মারিয়া জালে বল পাঠালেও অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল দেননি রেফারি।

৮৪ মিনিটে প্রতি আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন এমবাপে। তবে ডেভিড ডি গিয়াকে কাটাতে গিয়ে পড়ে যান ফরাসি ফরোয়ার্ড। আলগা বলে বের্নাতের নেওয়া শট পোস্টে লাগলে হতাশা বাড়ে পিএসজি শিবিরে।

খেলার ধারার বিপরীতে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে সফল স্পট কিকে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড রাশফোর্ড। ডিয়েগো দালোতের শট ডি-বক্সে পিএসজির ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বের হাতে লেগে বাইরে চলে গেলে প্রথমে কর্নারের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি।

এর পরপরই দানি আলভেসকে তুলে চোট কাটিয়ে ফেরা এডিনসন কাভানিকে মাঠে নামান কোচ টমাস টুখেল। কিন্তু বাকি সময়ে পিএসজিকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দিতে পারেননি কেউই।

ক্লাব ফুটবলে ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-০ বা তার চেয়ে বড় ব্যবধানে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের রাউন্ডে ওঠার কীর্তি গড়ল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর এই নিয়ে টানা তিন মৌসুমে প্রতিযোগিতাটির শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিল পিএসজি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads