• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
শফিউল ঝড়ে মোহামেডানের হাসি

ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে শফিউল ইসলাম

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

শফিউল ঝড়ে মোহামেডানের হাসি

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১০ মার্চ ২০১৯

বল হাতে শুরু থেকেই ধারণ করলেন অগ্নিমূর্তি। পেস তোপে সাজঘরে ফেরালেন গাজী গ্রুপের টপ অর্ডারের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। ধুঁকতে থাকা গাজীর সংগ্রহ দাঁড়াল দুইশোর নিচে। জবাবে সাত উইকেট পড়লেও ২৮ বল হাতে রেখে মোহামেডান পেল দারুণ এক জয়। ৩ উইকেটের জয়ে ম্যাচের নায়ক অনুমিতভাবে ৫ উইকেট নেওয়া পেসার শফিউল ইসলাম। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শুরুটা দারুণ হলো সাদা-কালো শিবিরের।

দিনের অন্য দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে প্রাইম বাংক ও প্রাইম দোলেশ্বর। শাইনপুকুরকে একপ্রকার উড়িয়েই দিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। দলটি জিতেছে ৯ উইকেটের ব্যবধানে। অন্যদিকে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে ২ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক।  

সাভারের বিকেএসপিতে মুখোমুখি হয়েছিল গাজী গ্রুপ ও মোহামেডান। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানের তারকা পেসার শফিউলের পেস তোপের মুখে পড়ে গাজী গ্রুপ। ২৬ রানের মধ্যে গাজী হারায় ছয়টি উইকেট। এর মধ্যে পাঁচটিই শফিউলের। প্রথম ছয়জন ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। সপ্তম উইকেট জুটিতে গাজীর হাল ধরেন তৌহিদ তারেক ও শামসুল ইসলাম। এই জুটি দলকে টেনে নিয়ে যায় ১২৭ রান পর্যন্ত। ৫৬ রান করে মোহাম্মদ আশরাফুলের শিকার হন তারেক। তবে ৭১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তৌহিদ। আবু হায়দার রনি করেন ২৬। ৪৫.২ ওভারে গাজী অলআউট হয় ১৮২ রানে। সাত ওভারে ৩২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেন শফিউল। সোহাগ গাজী নেন দুই উইকেট।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানেরও ছিল কাঁপাকাঁপি অবস্থা। ৫১ রানের মধ্যে হারায় ৫ উইকেট। ১৩৬ রানে নেই ৭ উইকেট। তবে সেখান থেকেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান। মোহামেডানের অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ১২৪ বলে ৮২ রান করে। ধৈর্যশীল ইনিংসে তিনি হাঁকিয়েছেন ৬টি চার ও একটি ছক্কা। সোহাগ গাজী করেন ৪৪ বলে ২৯ রান। ৪৫.৭ ওভারে তিন উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় মোহামেডান। গাজীর হয়ে রুয়েল মিয়া ও কামরুল ইসলাম রাব্বি দুটি করে উইকেট নেন। অন্যদিকে ফতুল্লায় দাপুটে জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.১ ওভারে ১৭৫ রানে অলআউট শাইনপুকুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন দেলোয়ার হোসেন। তৌহিদ ৩৩ ও সাব্বির ৩১ রান করেন। বল হাতে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে তিন উইকেট নেন অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৩.৪ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয় পায় প্রাইম দোলেশ্বর। ওপেনার সৈকত আলী ২৩ রানে বিদায় নিলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাইফ হাসান ও ফরহাদ হোসেন দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ১৩২ বলে সর্বোচ্চ ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফ হোসেন। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কার মার। ৯১ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন ফরহাদ হোসেন। তিনি হাঁকান চারটি চার ও একটি ছক্কা।

মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলাঘর ও প্রাইম ব্যাংকের লড়াইটা হয়েছে মোটামুটি। আগে ব্যাট করতে নেমে খেলাঘর ৪৬.৫ ওভারে অলআউট হয় ১৯৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন অমিত মজুমদার। ৩৫ রান করেন ভারতীয় ক্রিকেটার মেনারিয়া। অধিনায়ক নাজিমুদ্দিন করেন ২৯ রান। বল হাতে প্রাইমের দুর্দান্ত বোলিং ফিগার আরিফুল হকের। ৭.৫ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৪ রান। পেয়েছেন চার উইকেট। আবার ব্যাট হাতে অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে। অনুমিতভাবে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনিই। এছাড়া অলোক কাপালি নেন তিন উইকেট। 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিন ওভার বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান করে প্রাইম ব্যাংক। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার রুবেল মিয়া। আরেক ওপেনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় করেন ৩৭ রান। নাহিদুল করেন ৩১। ৫১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হক। খেলাঘরের হয়ে তিন উইকেট নেন ইরফান হোসেন। রবিউল হক পান দুটি উইকেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads