• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বিশ্বকাপে বড় ইনিংস নিয়ে ভাবনা সৌম্যের

সৌম্য সরকার

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

বিশ্বকাপে বড় ইনিংস নিয়ে ভাবনা সৌম্যের

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৯ মার্চ ২০১৯

যতই ব্যর্থতা দেখান না কেন, সৌম্য সরকারের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং মুগ্ধতা ছড়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের মনে। যদিও ইনিংস লম্বা করতে না পারায় অসংখ্যবার কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে তাকে। অনেক ম্যাচে দারুণ শুরুর পরও ৩০-৪০ রানে থেমে যেতে হয়েছে সৌম্যকে। আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আগে এই জায়গার উন্নতিতে কাজ করছেন তিনি।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪১ ম্যাচের ৪০ ইনিংসে ব্যাট করেছেন সৌম্য। তার মধ্যে ১৫ বার ২০ থেকে ৪০-এর ঘরে আউট হয়েছেন তিনি। প্রায় সব ম্যাচের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত, কিন্তু ইনিংসগুলো বড় করতে পারেননি। এমনকি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে শেষ তিন ম্যাচেও ভালো শুরু করে সৌম্য আউট হয়েছেন ৩৩, ৩৬ ও ৪৬ রানে।

বিশ্বকাপে কীভাবে স্কোরগুলো বড় করা যায়, সেই ভাবনাতেই এখন সৌম্য। গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি ২০ থেকে ৪০-এর মধ্যে অনেকবার আউট হয়েছি। এই জায়গা থেকে আমাকে বেরিয়ে আসতে হবে। ওই সময় আমাকে একটু ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। প্রথম কয়েকটি ম্যাচে একইভাবে খেলেছি এবং আউট হয়েছি।

সুতরাং এখানে পরিকল্পনায় বদল আনতে হবে। চেষ্টা করছি এই চক্র থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে পারি। গত তিন ম্যাচেও আমি ৩৩, ৩৬, ৪৬ রান করে আউট হয়েছি। এখানে আমার পরিকল্পনা ঠিক ছিল, কিন্তু আমি আউট হয়েছি ভালো বলগুলোতে। বর্তমানে যে পরিকল্পনায় খেলছি, সেটা অব্যাহত রাখতে পারলে সামনে ভালো কিছুই হবে।’

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হয় সৌম্যর। এক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়েই ২০১৫ বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। এবার তিনি আরো অভিজ্ঞ ও পরিণত। সৌম্য নিজেই জানালেন সেই কথা, ‘ওই সময় জুনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে চাপহীন হয়ে খেলেছি, এখন হয়তো ফ্রি থাকা সম্ভব নয়। একটু চাপ তো থাকবে। গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে, ওখানে গিয়ে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আগের বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যেভাবে সাহস নিয়ে খেলেছি, সেভাবে খেলার চেষ্টা করব।’

দলে নিজের ভূমিকা নিয়েও ভাবতে শিখেছেন সৌম্য। এই ভাবনাগুলোই সৌম্যকে পরিণত করছে, ‘দল সব সময়ই আমার কাছে প্রত্যাশা করে। এই প্রত্যাশা মেটানোর চেষ্টা করাই আমার কাজ। মাথায় সব সময় আছে দল আমার কাছে কী চায়, যদি না পারি তাহলে তো দল বিপদে পড়বে। আশা করি সামনে সুযোগ পেলে দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads