• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৮ মে ২০১৯

অবশেষে অধরা স্বপ্নটা ধরা দিল বাংলাদেশের হাতের মুঠোয়। ডাবলিনের মালাহাইডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৫২ রান সত্ত্বেও বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাড়ায় ২৪ ওভারে ২১০ রান। অসম্ভব এক লক্ষ্য। পুরোপুরি টি-টোয়েন্টি যাকে বলে। কিন্তু বুকে মনোবল আর অমিত সাহস নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে নেমে টাইগাররা।

সৌম্য সরকারের ঝড় দিয়ে শুরু। শেষটা হলো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের টর্নেডো দিয়ে। ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে মোসাদ্দেক হয়ে গেলেন ম্যাচের সেরা নায়ক। ইনজুরির কারণে সাকিব আল হাসান খেলতে পারেননি। তার পরিবর্তে সুযোগ পেলেন মোসাদ্দেকই। তিনিই শেষ পর্যন্ত এনে দিলেন প্রথমবারের মতো সেরার মুকুট।

সৌম্য সরকার যেভাবে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন মনে হচ্ছিল ম্যাচ অনেক দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। যদিও মাঝ পথেই ফিরতে হয়েছে বাম-হাতি এই ওপেনারকে। ৪১ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে সৌম্য বিদার নেয়ার আগে বাংলাদেশের তখন চালকের আসনে।

মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন ২৫ রানের কার্যকরী জুটি গড়ে ফিরে যান। ২২ বলে ৩৬ রান করেন মুশফিক। অন্যদিকে ১৪ বলে ১৭ রান করে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন মিঠুন।

এবার ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। তবে ক্লাইমেক্স যে এখনও বাকি ছিল তা বুঝা গেল মোসাদ্দেক হোসেনের ঝড়ো ইনিংস দেখে।

মাত্র ২৪ বলে ৫২ রান তুলে নেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক পূরণ করতে ৫টি ছক্কা আর দুটি চার হাকিয়েছেন। করেছেন কোটি কোটি টাইগার ক্রিকেট প্রেমীদের মন জয়। অবশেষে বাংলাদেশ শিরোপা ঘরে তুলেছে।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ৭ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে বৃষ্টি আইনে ম্যাচ জিতে নিয়েছে লাল-সবুজরা।
শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেকের সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন ২১ বলে ১৯ রান করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে ১৩ বলে ১৮ রান করেন তামিম ইকবাল। বাম-হাতি এই ওপেনার আউট হবার পর দুই বল খেলে কোনো রান না করে ফিরে যান সাব্বির রহমান।
সব মিলিয়ে ২২.৫ বলে ২১৩ রান তুলে নেয় মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।এর আগে ডাবলিনের দ্য ভিজেল গ্রাউন্ডে টস জেতার পর উইন্ডিজদের ব্যাট করতে পাঠান মাশরাফি।
ক্যারিবীয় দুই ওপেনার শাই হোপ আর সুনীল অ্যামব্রিস ২১.১ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে ১৩১ রানের জুটি গড়েন। ঠিক এই সময় হানা দেয় বৃষ্টি। চার ঘণ্টার বেশি সময়ের পর যখন ম্যাচ শুরু হয় খেলা গড়ায় ২৪ ওভারে। ফের ব্যাট করতে নেমে ৬৪ বলে ৭৪ করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফেরেন হোপ।
অন্যদিকে ৭৮ বলে ৬৯ করে অপরাজিত থাকেন অ্যামব্রিস। সঙ্গে ছিলেন ৩ বলে ৩ রান করা ড্যারেন ব্রাভো।
২৪ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় জেসন হোল্ডারের দল।
বৃষ্টি আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪ ওভারে ২১০। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড- ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটি নিজেদের করো নিলো টাইগাররা। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোসাদ্দেক। সিরিজ সেরার খেতাব জিতেছেন শাই হোপ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads