• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবিয়ে জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবিয়ে জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০১ জুন ২০১৯

‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দল বলে দুর্নাম রয়েছে সাবেক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের। তাই বলে এমনটা হবে, তাদের ঘোর নিন্দুকেরাও ভাবেননি। সমর্থকদের তো স্বপ্নেও ভাবার কথা নয়, বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে ২১.৪ ওভারে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়ে যাবে পাকিস্তান দল। গতকাল শুক্রবার ট্রেন্ট ব্রিজে ফিরে আসা সোনালি দিনের ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণের সামনে লজ্জার নতুন অধ্যায় খুলেছেন সরফরাজ আহমেদরা। আর ওই সামান্য রান টপকে ৭ উইকেটে জয় পেতে মোটেও সমস্যা হয়নি আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ১৩.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করে ক্যারিবীয়রা।

মাত্র ১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৬ ও ৪৬ রানে শাই হোপ (১১) ও ড্যারেন ব্রাভো (০) আউট হলে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু যেখানে ক্রিস গেইলের মতো ‘রানখেকো’ রয়েছেন দলে, তাদের তো চিন্তার কিছুই থাকে না। দলীয় ৭৭ রানে গেইল আউট হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহজ জয় ঠেকাতে পারেনি পাকিস্তান। গেইল মাত্র ৩৪ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে ৫০ রান করে আমিরের বলে আউট হন। পুরান ৩৪ ও হেটমেয়ারের ৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন। আমির আগের উইকেট দুটিও পান। তিনি ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান যে ১০০ রান পেরিয়েছে, তার পুরো কৃতিত্ব ওয়াহাব রিয়াজের। এই ব্যাটসম্যান ১৮ রানের ইনিংস খেলার কারণেই পাকিস্তানের স্কোর অত দূর গিয়েছে। বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জায় হয়তো ডুবতে হয়নি পাকিস্তানকে, তবে এই ধাক্কা কোনোভাবেই প্রত্যাশা ছিল না তাদের। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ৭৪ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ডটা অক্ষত থাকলেও এবারের ১০৫ রানে গুটিয়ে যাওয়াটা হয়ে থাকল বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের ঘটনা।

টস জিতে ফিল্ডিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে খুব একটা সময় নেননি শেলডন কটরেল। ইনিংসের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই এই পেসার ফেরান ইমাম-উল-হককে। মাত্র ২ রান করে পাকিস্তানি ওপেনার ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক শাই হোপের গ্লাভসে।

ক্যারিবিয়ান পেস আক্রমণে সুবিধা করতে পারেননি টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানরাও। ফখর জামান ও বাবর আজম খানিক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও বর্থ হন। আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা ফখর দুঃখজনক বোল্ড আউটে ফিরলে বিপদ আরো বাড়ে পাকিস্তানের। আন্দ্রে রাসেলের বল তার হেলমেটে লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। আউট হওয়ার আগে তার রান ১৬ বলে ২২। রাসেলের উইকেট উৎসব থামেনি। খানিক পর এই পেসার তুলে নেন হারিস সোহেলের উইকেট। তার শর্ট ডেলিভারি ৮ রান করা হারিসের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে শাই হোপের গ্লাভসে। আশা জাগানো বাবরও পারেননি। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ব্যাটসম্যানের কাছে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও ২২ রান করে ওশানে থমাসের শিকার হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।

৬২ রানে ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। দলকে চরম লজ্জায় ডুবিয়ে একে একে মাঠ ছেড়েছেন সরফরাজ আহমেদ (৮), ইমাদ ওয়াসিম (১), শাদাব খান (০), হাসান আলী (১) ও মোহাম্মদ হাফিজ (১৬)।

পাকিস্তানকে লজ্জায় ডোবানোর পথে বল হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ওশানে থমাস। এই পেসার ৫.৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। জেসন হোল্ডার ৪২ রান খরচায় পেয়েছেন ৩ উইকেট। আন্দ্রে রাসেল তো আরো ভয়ঙ্কর। ৩ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads