• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৯ জুন ২০১৯

লিডসে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের ধাক্কা লর্ডসে কাটিয়ে উঠতে পারল না স্বাগতিক ইংল্যান্ড। উল্টো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে এক প্রকার উড়েই গেল ইংলিশ শিবির। বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গতকাল ইংল্যান্ডকে ৬৪ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের এই হারে স্বস্তি বিরাজ করছে বাংলাদেশ শিবিরেও। কারণ ইংল্যান্ড যত হারবে ততই সেমিতে যাওয়ার রাস্তা চওড়া হবে টাইগারদের।

লর্ডসে অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে সাত উইকেটে ২৮৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার মুখ থুবড়ে পরে স্টার্ক-বেহরেনডরফদের আগুনে পেস বোলিংয়ের তোপে। প্রতিকূল অবস্থায় যা একটু লড়াই করেছেন বেন স্টোকস। কিন্তু তার বিদায়ের পর পরাজয় ত্বরান্বিত হয় ইংলিশদের। ৪৪.৪ ওভারে ইংল্যান্ড অলআউট ২২১ রানে। বল হাতে জয়ের নায়ক অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার বেহরেনডরফ ও স্টার্ক। দুজনে মিলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। বেহরেনডরফ ১০ ওভারে ৪৪ রানে নেন পাঁচ উইকেট। ৮.৪ ওভারে এক মেডেনসহ ৪৩ রানে চার উইকেট নেন স্টার্ক। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন সেঞ্চুরিয়ান অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।

ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের প্রথম সারির ব্যাটসম্যান ভিন্স, বেয়ারস্টো ও অধিনায়ক মরগান ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। বাটলার ও স্টোকস মিডল অর্ডারে একটু আশা জাগালেও স্টয়নিস তাতে ভাঙন ধরান। ২৫ রানে ফেরত যান বাটলার। ক্রমেই বিধ্বংসী হয়ে ওঠা বেন স্টোকস প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির কাছাকাছি। ৮৯ রানে তাকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলীয় শিবিরে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দেন মিচেল স্টার্ক। শেষের দিকে ওকস ২৬ ও আদিল রশিদ ২৫ রান করেন।

লর্ডসে আগে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের তৃতীয় শতরানের জুটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ভালো শুরু এনে দেন অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। সাবধানি শুরু করা দুই ওপেনার ধীরে ধীরে বাড়ান রানের গতি। ২৩তম ওভারে ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে ১২৩ রানের জুটি ভাঙেন মইন আলি। ৬১ বলে ৬ চারে ৫৩ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। জস বাটলারের ব্যর্থতায় শুরুতেই স্টাম্পড হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান উসমান খাজা। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিরেন অধিনায়কের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়ে। ২৩ রান করে স্টোকসের বলে বোল্ড হন তিনি।

৬১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া ফিঞ্চ আসরে নিজের দ্বিতীয় ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পঞ্চদশ সেঞ্চুরি তুলে নেন ১১৫ বলে। পরের বলেই জফরা আর্চারের শর্ট বলে হুক করার চেষ্টায় ধরা পড়েন ফাইন লেগে। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের ১১৬ বলের ইনিংস গড়া ১১ চার ও দুই ছক্কায়।

অধিনায়কের দেখানো পথে হাঁটতে পারেনি পরের ব্যাটসম্যানরা। একটি করে ছক্কা-চার হাঁকিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে যান হার্ড হিটার ম্যাক্সওয়েল। রান আউট হয়ে ফিরেন মার্কাস স্টয়নিস। দ্রুত উইকেট হারানো বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের টানতে পারেননি স্টিভেন স্মিথও। পাঁচ চারে ৩৮ রান করে ফিরে যান তিনি। শেষের দিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২৭ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে ২৮৫ পর্যন্ত নিয়ে যান অ্যালেক্স কেয়ারি। বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে ওকস দুটি, আর্চার, উড, স্টোকস ও মঈন আলী নেন একটি করে উইকেট।

সাত ম্যাচে ছয় জয় ও এক হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়া। ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড (৬ ম্যাচ)। সেখানে ৫ ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ভারত। সাত ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পাওয়া ইংল্যান্ড রয়েছে চতুর্থ স্থানেই। ইংল্যান্ডের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সাত ম্যাচে সাত পয়েন্ট অর্জন করা বাংলাদেশ। টাইগারদের অবস্থান পঞ্চম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads