• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কিউইদের হারিয়ে সেমিতে ইংলিশরা

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

কিউইদের হারিয়ে সেমিতে ইংলিশরা

  • তারিক আল বান্না
  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০১৯

অনেকটাই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। বিজয়ী দল চলে যাবে সেমিফাইনালে। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের জন্য সেই হিসাব একেবারেই খাঁটি। তবে হেরে গেলেও নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠার আশা কমবে, কিন্তু মুছে যাবে না। গতকাল বুধবার চেস্টার-লি-স্ট্রিটে এমনই হিসাব-নিকাশের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ১১৯ রানে জিতে নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠানরত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শেষ চারে জায়গা করে নিল। আর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে নিউজিল্যান্ডকে। বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে না উঠলেও চতুর্থ দল নিউজিল্যান্ড নাকি পাকিস্তান হবে তার চাবিকাঠির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

চলতি বিশ্বকাপে জনি বেয়ারস্টোর টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৫ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড ৪৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে।

৯ ম্যাচে ইংল্যান্ড পেয়েছে ১২ পয়েন্ট। নিউজিল্যান্ড ১১ পয়েন্টেই রয়ে গেছে। আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া (১৪ পয়েন্ট) ও সাবেক শিরোপাধারী ভারত (১৩ পয়েন্ট)। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের (৯ পয়েন্ট) মধ্যকার শুক্রবারের ম্যাচের দিকে। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে গেলে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে যাবে কিউইরা। আর বাংলাদেশ হেরে গেলে সাবেক শিরোপাধারী পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে নিউজিল্যান্ডের। সে ক্ষেত্রে নেট রানরেটের বিচারে হয় নিউজিল্যান্ড, নয় পাকিস্তান পাবে সেমিফাইনালের টিকেট। অবশ্য নেট রানরেটে নিউজিল্যান্ড (+০.১৭৫) অনেক এগিয়ে পাকিস্তানের (-০.৭৯২) তুলনায়। পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার আশা খুবই ক্ষীণ। কারণ পাকিস্তানকে সেমির টিকেট পেতে হলে নিজেদের আগে ব্যাটিং করতে হবে এবং বাংলাদেশকে ৩১৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাতে হবে, যা একেবারেই কঠিন ব্যাপার। তবে অসম্ভব নয়। এদিকে গতকাল ইংল্যান্ডের জয়ের ফলে আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার (৮) যে ক্ষীণ আশা ছিল সেমিফাইনালে ওঠার, সেটাও নিভে গেল।

৩০৬ রানের কঠিন টার্গেটকে সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড দল। প্রথম ওভারেই হেনরি নিকোলাস (০) ওকসের বলে এলবিডব্লিউ হন। দলীয় ১৪ রানের সময় আর্চারের বলে মার্টিন গাপটিল (৮) ফিরে গেলে বিপর্যয় বাড়তে শুরু করে কিউইদের। এরপর সবচেয়ে দামি ব্যাটসম্যান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ২৭ রানে, রস টেইলর ২৮ রানে, নিশাম ১৯ রানে, গ্র্যান্ডহোম ৩ রানে আউট হন। টম লাথাম অনেকটা একাই দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। দলীয় ১৬৪ রানে লাথাম, প্লাঙ্কেটের বলে বাটলারের হাতে ধরা পড়েন। লাথাম ৬৫ বলে ৫টি চারে ৫৭ রান করেন। দলীয় ১৬৬ রানের সময় সান্টনার (১২) আউট হন উডের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। দলীয় ১৮১ রানে হেনরি (৭) আউট হয়ে যান উডের বলে। ১৮৬ রানের সময় বোল্ট (৪) স্ট্যাম্প হন আদিল রশিদের বলে। ৭ রানে অপরাজিত থাকেন সাউদি।

ইংল্যান্ডের উড ৩৪ রানে ৩টি উইকেট পান। আর ওকস, আর্চার, প্লাঙ্কেট, রশিদ ও স্টোকস ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের শুরু হয় দুর্দান্তভাবে। রয়-বেয়ারস্টো আরেকবার কঠিন পরীক্ষা নেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটি থেকেই ইংল্যান্ড পায় ১২৩ রান। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করে রয় আউট হলে প্রত্যাশামতো বাড়েনি ইংলিশদের রান। এই ওপেনার ৬১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে করেন ৬০ রান। রয় আউট হলেও বেয়ারস্টো তুলে নেন সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ১১১ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান এবার করেছেন ১০৬ রান। ৯৯ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় সাজানো ম্যাচসেরা বেয়ারস্টোর এই ইনিংসটির পরও ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়েছে ৩০৫ রানে। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর কিউই বোলাররা ঘুরে দাঁড়ান। ট্রেন্ট বোল্ট ও জিমি নিশামের তোপে সুবিধা করতে পারেননি পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা। জো রুট ফেরেন ২৪ রানে। জস বাটলারও (১১) যেতে পারেননি বেশি দূর। চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেন স্টোকস আউট হন ১১ রানে। অধিনায়ক এউইন মরগান ‍৪০ বলে করেন ৪২ রান। আদিল রশিদ ১৬ ও লিয়াম প্লাঙ্কেটের অপরাজিত ১৫ রান করায় ৩০০ অতিক্রম করে ইংল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার নিশাম। এই পেসার ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। ২টি করে উইকেট লাভ করেন বোল্ট ও ম্যাট হেনরিও।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads