• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
অনুশোচনা নেই ধর্মসেনার

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

অনুশোচনা নেই ধর্মসেনার

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২২ জুলাই ২০১৯

ঐতিহাসিক এবং অবিস্মরণীয় এক ফাইনাল ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। মূল ম্যাচ হলো টাই, সুপার ওভারও হয় টাই। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি ব্যবধানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। অবিশ্বাস্য এই ম্যাচটি নিয়েও শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। যে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে আম্পায়ারের বড় একটি ভুল। বিশ্বকাপের ফাইনালে পর এক সপ্তাহ পার হয়েছে। সব সৌন্দর্য শেষ করে এবার ভুল স্বীকার করলেন ওই বিতর্কিত আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। তবে এটাও বলেছেন, ফাইনালের সিদ্ধান্ত নিয়ে তার অনুশোচনাও নাকি নেই।  

মূল ম্যাচে ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। বড় শটের পথ খুঁজছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস। তবে ব্যর্থ হন তিনি। ট্রেন্ট বোল্টের করা চতুর্থ বলটি ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে এক রান নেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ব্যবধান কমানোর জন্য ওই বলে দুই রান নিতে দৌড় দেন স্টোকস আর আদিল রশিদ। তখন একেবারে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন গাপটিল। স্টোকসকে রান আউট করার জন্য তিনি যে থ্রো করেন, সেটি স্ট্যাম্পেও আঘাত হানল না, কোনো ফিল্ডারের হাতেও গেল না। রানআউট থেকে বাঁচতে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্টোকস। বলটি তার ব্যাটে লেগে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে, এক্সট্রা বাউন্ডারি। সঙ্গে দুই ব্যাটসম্যানের দুবার জায়গা বদল। ফলে এই বলে ৬ রান ঘোষণা করেন আম্পায়ার ধর্মসেনা।

বিতর্ক তৈরি হয় এই ৬ রান দেওয়া নিয়েই। বিতর্কের বিষয়, তখন ইংল্যান্ড কি ৫ রান পেত নাকি ৬ রান পেত? নিয়ম অনুযায়ী ওই বলে পাঁচ রান পাওয়ার কথা ইংল্যান্ডের। কেননা বল ব্যাটের লাগার সময় স্টোকস পুরোপুরি বাইশ গজ অতিক্রম করতে পারেননি; কিন্তু ধর্মসেনার ভুলে এক রান বোনাস হিসেবে পেয়ে যায় ইংলিশরা। 

অবশেষে সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন ধর্মসেনা। এক সাক্ষাৎকারে ধর্মসেনা বলেন, ‘টিভি রিপ্লে দেখার পর মন্তব্য করা খুবই সহজ। টিভিতে পুনরায় দেখার পর আমিও মানছি যে তখন আমার সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। কিন্তু আপনি যাই বলেন, মাঠে তো আমাদের টিভি দেখে সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুযোগ নেই। আমি কখনোই সে সিদ্ধান্তটি নিয়ে অনুশোচনায় ভুগব না। পাশাপাশি সেই মুহূর্তে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আইসিসিও আমার প্রশংসা করেছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads