• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যাটিং-বোলিংয়ে দারুণ মহড়া

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

ব্যাটিং-বোলিংয়ে দারুণ মহড়া

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট। তার আগে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের বেশ ভালোমতো ঝালাই করে নিল আফগান শিবির। ব্যাটিং কিংবা বোলিং, দুই দিক থেকেই ফুরফুরে ছিল রশিদ শিবির। দুই দিনের ম্যাচ বলেই ম্যাচটি ড্র হয়েছে। ম্যাচটি  তিন দিনেই গড়ালেই হারতে পারত বিসিবি একাদশ। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন শেষে আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান করে ৬ উইকেটে ২৪২ রান। দুই ওপেনারকে আউট করতে পারেনি স্বাগতিক বোলাররা। গতকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে আফগানরা ২৮৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে ১২৩ রানেই অলআউট বিসিবি একাদশ। পরে বিনা উইকেটে ১৪ রান তোলে আফগানরা। সময় না থাকায় দুই অধিনায়ক রশিদ খান এবং নূরুল হাসান সোহান ম্যাচটি ড্র বলে মেনে নেন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান দলপতি রশিদ খান। শুরুতে উইকেটের জন্য লড়তে হয় স্বাগতিকদের। দুই ওপেনার ইসানুল্লাহ এবং ইব্রাহিম জাদরান ফিফটি পেয়েছেন। নটআউট থেকেই স্বেচ্ছায় ব্যাটিং ছেড়েছেন। ইহসানুল্লাহ ১৩৭ বলে ৭টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৬২ রান। ১২৪ বলে ৬টি বাউন্ডারিতে ৫২ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। তিন নম্বরে নামা জাভেদ আহমাদি ব্যক্তিগত ৩ রানে ফিরলে আফগানদের প্রথম উইকেটের পতন হয় ১৩১ রানের মাথায়।

চার নম্বরে নামা রহমত শাহ (৭) নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। হাশমতউল্লাহ শহীদি ৬১ বলে তিনটি চারের সাহায্যে করেন ২৬ রান। ১৬ রান আসে সাবেক দলপতি আসগর আফগানের ব্যাট থেকে। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ৭৯ বলে একটি করে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারিতে করেন ৩৩ রান। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইকরাম আলি খিল ১ রানে বিদায় নেন। আফসার জাজাই ৭৫ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। দলপতি রশিদ খান ১৪ বলে ১৩ রান করেন। শেষ দিকে ৩১ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কায়েস আহমেদ।

বিসিবি একাদশের হয়ে আল আমিন ১৮ ওভারে ৩ মেডেন নিয়ে ৫১ রান খরচায় তুলে নেন চারটি উইকেট। ১৯ ওভারে ৪৩ রান খরচায় তিনটি উইকেট পান সুমন খান। এছাড়া মেহেদি হাসান রানা, মানিক খান, সালাউদ্দিন শাকিল, জুবায়ের হোসেন, আসাদুল্লাহ গালিব কোনো উইকেটের দেখা পাননি।

ব্যাটিংয়ে নেমে বিসিবি একাদশের হয়ে সবাই বলতে গেলে ব্যর্থ। ফিফটির দেখা পাননি কেউই। সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে বল হাতে চার উইকেট নেওয়া আল আমিনের ব্যাট থেকে। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৩৫ বলে করেন ১৯ রান। আরেক ওপেনার সাব্বির হোসেন ৪, ফজলে মাহমুদ ৮, নাঈম ইসলাম ১৩। দলপতি সোহান করেন ১৫ রান। এছাড়া ইরফান শুক্কুর ৯, ফারদিন হাসান ১৪, সুমন খান ৩ রান করেন। মেহেদি রানা ও মানিক খান রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

আফগানদের হয়ে ১১.৩ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৫টি উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি চায়নাম্যান জহির খান। রশিদ খান ৮ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। সাঈদ শিরজাদ একটি আর শাপুর জাদরান একটি করে উইকেট তুলে নেন। মোহাম্মদ নবী ৮ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানরা ৩.৫ ওভারে বিনা উইকেটে তোলে ১৪ রান। ওপেনার জাভেদ আহমাদি ১২ আর রহমত শাহ ২ রানে অপরাজিত থাকেন।

বিসিবি একাদশ : নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), ফজলে মাহমুদ, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির হোসেন, আল আমিন, নাঈম ইসলাম, ইরফান শুক্কুর, সালাউদ্দিন শাকিল, সুমন খান, মানিক খান, জুবায়ের হোসেন, মেহেদি হাসান রানা, আসাদুল্লাহ গালিব, ফারদিন হাসান, নাঈম হাসান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads