• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ক্রিকেট কূটনীতিতে হার না জয়?

ফাইল ছবি

ক্রিকেট

ক্রিকেট কূটনীতিতে হার না জয়?

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি ২০২০

পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ শুধু টি-টোয়েন্টি খেলবে, কোনো টেস্ট নয়। এমন বক্তব্যই বিসিবি গত এক সপ্তাহ ধরে দিয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ দৃশ্যপট পরিবর্তন। পাকিস্তানে শুধু টি-টোয়েন্টি নয় টেস্টও খেলবে বাংলাদেশ। সূচিতে না থাকলেও খেলতে হবে একটি ওয়ানডে ম্যাচও। সব হবে তিন দফায়। অর্থাৎ এই ম্যাচগুলো খেলতে পাকিস্তানে তিনবার যাবে বাংলাদেশ। 

এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ক্রিকেট কূটনীতিতে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হেরে গেল? সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অবশ্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। পাপন বললেন, ক্রিকেট কূটনীতিতে হার! এটা কেন বলছে কোনো কারণই আমি খুঁজে পাচ্ছি না। আমি জানি না। আমার কাছে অদ্ভুত লাগছে। আমরা প্রথম থেকে যেটা বলেছি সেটাই হয়েছে। আমার কাছে তেমনই মনে হচ্ছে।

অথচ গত রোববার বিসিবির বোর্ড সভা থেকে বেরিয়ে সভাপতি পাপন জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান সফরে টেস্ট খেলার অনুমতি দেয়নি সরকার। ফলে স্বাগতিক দেশটিতে আপাতত তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ইচ্ছুক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। আর এফটিপিতে যেহেতু ওয়ানডে ছিল না, সেহেতু এই মর্মে প্রশ্নই ছিল একদমই অবান্তর। কিন্তু পরশু দুবাইয়ে আইসিসি সভায় পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানির সঙ্গে বিসিবি সভাপতি পাপনের সাইডলাইন আলোচনা শেষে খবর হলো, টেস্ট, টি-টোয়েন্টি তো বটেই, দেশটি সফরে এফটিপির বাইরে থাকা এক ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডেও খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এবং আগে যেখানে এক দফায় যাওয়া নিয়েও শঙ্কার উদ্রেক হচ্ছিল সেখানে তিন দফায় পাকিস্তান সফর করবে টাইগাররা।

এতে করে এদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা নাজমুল হাসানের পাপনের ক্রিকেট কূটনীতির পরাজয় বলেই দেখছেন। তাদের মতে, আলোচনার টেবিলে দেশের স্বার্থ সঠিকভাবে তুলে ধরতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু পাপন বলছেন, না! আলোচনার টেবিলে ক্রিকেট কূটনীতিতে হারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি।

গতকাল বুধবার সকালে আইসিসিরি সভা থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ কথা বলেন বিসিবিপ্রধান। পাপন বলেন, সরকার থেকে যেই জিনিসটা বলা আছে, আমরা যে রকম আগে থেকে বলেছি ওই রকমই লিখেছে। এখানটায় লিখেছে যে, প্রথমে টি-টোয়েন্টি খেলে আসবে। তারপরে অবস্থা বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে গিয়ে টেস্টগুলো খেলে আসবে। আমরা এখনো সেই ধারাতেই আছি। পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানের সাথে খেলার আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ দরকার। আমাদের কাছে মনে হয়েছে টি-টোয়েন্টির চেয়ে ওয়ানডে হলে হয়তো অনুশীলনটা ভালো হবে।

২৪, ২৫, ২৭ জানুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে তিন টি-টোয়েন্টি। ৭-১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে একটি টেস্ট। মাস খানেক পর ৩ এপ্রিল করাচিতে হবে একটি ওয়ানডে। ৫-৯ এপ্রিল করাচিতে দ্বিতীয় টেস্ট।

পাকিস্তান সফর উপলক্ষে শনিবারের মধ্যেই হতে পারে দল ঘোষণা। দল নির্বাচন ও ঘোষণার কাজ যে কমিটির ওপর ন্যাস্ত সেই নির্বাচক কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, হাতে সময় যেহেতু খুব কম, তাই যা করার খুব শিগগিরই করতে হবে। তিনি বলেন, বোর্ড সভাপতি দেশে ফিরে আসবেন আজ (গতকাল)। তার কাছ থেকে একটা দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছি আমরা। তিনি এসে নিশ্চয়ই পুরো সফরসূচি ও দল নিয়ে আমাদের সঙ্গে বসবেন। তখনই আসলে বলা যাবে কবে নাগাদ দল ঘোষণা। তিনি আরো বলেন, তবে যেহেতু অল্প কিছুদিন আগেই ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে এসেছে জাতীয় দল, তাই স্কোয়াড মোটামুটি সাজানোই আছে। যেহেতু ব্যাক টু ব্যাক সিরিজ, তাই ঢালাও বা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সুযোগ নেই। আমরা সে পথে হাঁটবও না। তাই আশা করছি কাল-পরশুর ভেতরে সব ঠিক করে ১৭ জানুয়ারি বিপিএল ফাইনালের দিন বোর্ডে জমা দিয়ে দেব। তার আগেও সম্ভব হলে দিতে পারি। এখন ঘোষণা কবে, সেটা বোর্ড সভাপতির অনুমোদনের পর বোর্ডই জানাবে।

সময় কম থাকলেও একটি অনুশীলন ক্যাম্প হবে। ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার সাব্বির খান এ প্রসঙ্গে জানান, দল পাকিস্তান যাবে ২২ জানুয়ারি, এর আগে একটি অনুশীলন ক্যাম্প হবে। তবে সেটা কবে শুরু, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ১৭ জানুয়ারি যেহেতু ফাইনাল এবং সম্ভাব্য দলের বেশ কজন ক্রিকেটারের ওই ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ১৮ কিংবা ১৯ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি তিন দিনের ছোট্ট একটা প্রস্তুতি পর্ব হবে ঢাকাতেই। তারপর ২২ জানুয়ারি দল করাচি হয়ে লাহোরের উদ্দেশে যাত্রা করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads