দেশীয় চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রী আবারো ব্যস্ত হয়ে উঠছেন বড়পর্দায়। আকর্ষণীয় লুকে বড়পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন রুহুল আমিন ভূঁইয়া
ফুটবলে কোন দলের সাপোর্টার?
বিশ্বকাপ ফুটবলে আমার প্রিয় দল ব্রাজিল। তবে আর্জেন্টিনার খেলা ভালো লাগে। এই দুই দলের মধ্যে যে চ্যাম্পিয়ন হবে আমি খুশি। বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপে খেলত তাহলে অনেক আনন্দ লাগত। আশা করছি এক দিন আমরাও বিশ্বকাপ ফুটবল খেলব।
কাজে ফিরবেন কবে?
আগামী মাসে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবির শিডিউল দেওয়া আছে। তারপর ‘সাহসী যোদ্ধা’, ‘টার্ন’ ও ‘যুদ্ধ শিশু’ ছবিগুলোর কাজ করব।
যৌথ প্রযোজনা প্রসঙ্গে-
যৌথ প্রযোজনার ক্ষেত্রে ৫০-৫০ সবকিছু হবে বাংলাদেশ ভারত মিলে। শিল্পী থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান হতে হবে নিয়মনীতি মেনে। এর নামেই যৌথ প্রযোজনা। কিন্তু অনেকে সেটি করছে না। যৌথ প্রযোজনা, যৌথ প্রতারণা হয়ে যাচ্ছে। এটা মোটেও কাম্য নয়।
চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?
যে অবস্থান থাকা উচিত এবং যে অবস্থান আমরা আশা করি সেই অবস্থান কিন্তু নেই। আগে বছরে ১০০ থেকে ১৫০ ছবি নির্মাণ হতো। এখন সেটি হচ্ছে না। এই সমস্যার প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের সিনেমা হল নেই। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় যদি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম দিয়ে সিনেমা হল করে দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন পরিবর্তন হয়ে যাবে। পরিবেশ পরিবর্তন হলে আমাদের দেশে আরো ভালো সিনেমা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা লাগবে এবং সেটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
যে চরিত্রে এখনো অভিনয় করতে পারেননি—
হাজারো স্বপ্নের চরিত্র রয়েছে। শিল্পীর কাজের ক্ষুধা কখনো কমে না। ভিন্ন গল্প, ভিন্ন চরিত্র পছন্দ করি। সেক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা খুঁজি। চ্যালেঞ্জিং চরিত্র খুঁজি, মাটি ও মানুষের কথা খুঁজি। সেক্ষেত্রে ভিন্ন ধাঁচের গল্প হলে কাজ করতে আগ্রহী। নারীপ্রধান চরিত্র অনেক আছে, সেগুলোতে কাজ করতে চাই। উপন্যাসে অনেক বিখ্যাত চরিত্র আছে, সেগুলো নিয়ে ছবি নির্মাণ হলে তাতে কাজ করতে চাই।