• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

গাজীপুর নগর ভবন

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি কাল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৮

সীমানাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে দুই মেয়র প্রার্থীর করা আবেদনের শুনানির দিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার ধার্য করেছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে ইসি’র পক্ষে আইনজীবী ওবায়দুর রহমান মোস্তফা জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আমরা হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করবো। এ দু’টি আবেদনের সঙ্গে আমাদের আবেদনটি একসঙ্গে শুনানি করলে ভালো হয়। ’তখন আদালত বলেন, ‘বাকিরা করে ফেলেছে, আপনারা এতো দেরি করলেন কেন?’ জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার, নির্বাচন কমিশন থেকে আদেশ পাওয়ার পর আজ আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ এরপর আদালত ‘নট টুডে’ (আজকে নয়) আদেশ দেয়।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে এস এম শফিকুল ইসলাম বাবুল উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ৮ মে দুই মেয়র প্রার্থীর করা আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করে দেয় চেম্বার আদালত। নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ৭ মে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন। এরপর আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গির আলম ও আবেদন করেন।

সীমানাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে ৬ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে রুলও জারি করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে ৬ এপ্রিল রিট আবেদনটি দায়ের করেন সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। ৪ মার্চ সিটি করপোরেশনের সীমানা নিয়ে গেজেট জারি হয়। যেখানে শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, পানিশাইল ও ডোমনাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

রিটের পক্ষে আইনজীবী জানান, ২০১৩ সালে এ ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তখন বিষয়টি নিয়ে এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ আবেদন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রাহ্য না করায় হাইকোর্টে রিট করার পর আদালত আবেদনটি পুনর্বিবেচনা করতে নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে এ ছয়টি মৌজা শিমুলিয়ার মধ্যেই ছিল। নির্বাচনে আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখন আবার এ ছয় মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেহেতু তিনি ছয়টি মৌজার ভোটেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই এ ছয়টি মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত উক্ত আদেশ দেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন ১৫ মে হওয়ার কথা ছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads