• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
তফসিল ঘোষণা আজ

নির্বাচন ভবন

ছবি : তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী

নির্বাচন

নির্বাচন ২০ অথবা ২৩ ডিসেম্বর

তফসিল ঘোষণা আজ

# ইসিকে সহযোগিতায় প্রস্তুত সরকার # ইভিএম ব্যবহার না করার অনুরোধ জাপার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ নভেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে আজ বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে এই তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার অথবা ২৩ ডিসেম্বর রোববার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৮ নভেম্বর তফসিল দিয়ে সম্ভাব্য এই দুটি তারিখে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে। এদিকে আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার। সরকারি দল আওয়ামী লীগের তরফ থেকে গতকাল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সিইসির সঙ্গে দেখা করে এই আশ্বাস দেওয়া হয়। একই দিন বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও সিইসির সঙ্গে দেখা করে তফসিল ঘোষণা করতে যাওয়ায় ইসিকে সাধুবাদ জানায়। তারা নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ইসিকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেয়। তফসিল ঘোষণার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছে সম্মিলিত জাতীয় জোটও। তবে এরশাদের নেতৃত্বাধীন এই জোট নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে।  

ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট গতকাল সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে। জাপা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জোট নেতাদের মধ্যে জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এমএ সাত্তার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মশিউর রহমান রাঙ্গা, মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক ও বিএনএ চেয়ারম্যান সেকান্দার আলী মনি ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে ইসির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী।

বৈঠকে সিইসি জোট নেতাদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনারা জানেন আমরা এর আগে সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি বৃহস্পাতিবার (আজ) তফসিল ঘোষণা করা হবে।

এদিকে বিকালে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে সরকারের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের আশ্বাস দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ড. মসিউর রহমান, রশিদুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, রিয়াজুল কবীর কাওছার, গোলাম রাব্বানী চিনু, তানভীর ইমাম, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী প্রমুখ।

বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের প্রধান এইচটি ইমাম সাংবাদিকদের কাছে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন রয়েছে জানিয়ে বলেন, ৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। তারা যেভাবে নির্বাচন করতে চায়, যেদিন নির্বাচন করতে চায়, তারা যেদিন তফসিল ঘোষণা করতে চায়; সরকারের দায়িত্ব তাদের সেভাবে সহায়তা করা। সরকার তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করবে।

এর আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। এর মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছানোর দাবি জানানো হলেও যুক্তফ্রন্ট জানিয়েছে, তারা ৮ নভেম্বরই তফসিল চায়।

উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৮ নভেম্বর তফসিল দিয়ে ২০ অথবা ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads