• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
নির্বাচিত হলে দূর্গাপুর-কমলাকান্দাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলব: সুজন হাজং

গীতিকার ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জনপ্রিয় যুবনেতা সুজন হাজং

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

নির্বাচিত হলে দূর্গাপুর-কমলাকান্দাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলব: সুজন হাজং

  • প্রকাশিত ১৬ নভেম্বর ২০১৮

আদিবাসী হাজং জাতিগোষ্ঠী থেকে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনলেন গীতিকার ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জনপ্রিয় যুবনেতা সুজন হাজং। রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয় থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন কেনেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপুমনি এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ এমপি, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, কবি আসলাম সানী প্রমুখ। গারো, চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে এর আগে সংসদ সদস্য হলেও হাজং সম্প্রদায় থেকে এই প্রথম কেউ মনোনয়নপত্র কিনলেন। তিনি নেত্রকোণা-১ (দূর্গাপুর, কলমাকান্দা) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান।

এ প্রসঙ্গে সুজন হাজং বলেন, ‘আমি বরাবরই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার প্রাণের সংগঠন। শেখ হাসিনা আমার প্রাণের নেতা। এই দলটির মাধ্যমেই আমি দেশ ও আমার সম্প্রদায়ের সেবা করতে চাই। সে কারণেই মনোনয়নপত্র কিনেছি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়লাভের মাধ্যমে আমি আমার পাহাড়ি জনপদের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই’। তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। মনোনয়ন পেলে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল কৃষক আন্দোলনের পূণ্যভূমি আমার নির্বাচনী এলাকা (নেত্রকোনা-১) দূর্গাপুর কমলাকান্দাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে চাই আমার অবহেলিত পাহাড়ী জনপদের মানুষের মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার লড়াইয়ে। আমি তাদের পাশে সাহসে বুক বেঁধে দাঁড়াতে চাই’।

সুজন হাজং ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটিতে সদস্য হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় নিয়োজিত করেন নিজেকে। সে কারণে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনেও পরিচিত মুখ সুজন হাজং। কবিতা চর্চার পাশপাশি বেশ কিছু গানও লিখেছেন তিনি। তার লেখা আধুনিক গান ও দেশের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ কণ্ঠশিল্পীরা। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তার লেখা একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ প্রজন্মের চার শিল্পী কিশোর দাশ, পুতুল, পুলক ও লিজা। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু ও এই পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ থেকে শেখ রাসেলকে নিয়ে করেছেন ছয়টি গান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লিখেছেন আরো ৮টি গান যাতে কণ্ঠ দিচ্ছেন সার্কভুক্ত ৬টি দেশের ৮ জন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী। সুজন হাজং বিভিন্ন সামাজিক, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত। তিনি একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগঠন ‘দ্য মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটি- বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’ এর সাংগঠনিক সম্পাদক, ‘বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতি বিশ্ব’ এর সাধারণ সম্পাদক, ‘বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র ফোরাম’ এর সভাপতি (সাবেক), ‘বাংলাদেশ হাজং যুব সংগঠন’ এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads