আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ।
আজ শনিবার বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়ির চট্টগ্রাম লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা জানান।
ইসি সচিব বলেন, ১৮ নভেম্বর সারা দেশে নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার অপসারণের শেষ তারিখ। এ সময়ের মধ্যে যদি অপসারণ না হয় তাহলে ১৯ নভেম্বর থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এসব নামানো হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন আর পেছানো হবে না। ৩০ ডিসেম্বরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ ডিসেম্বর দিনটি ভোট উৎসবে পরিণত হবে বলে নির্বাচন কমিশন আশা করে।
ইভিএম প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন,নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো শহর এলাকায় স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। চট্টগ্রামের কোনো এলাকায়, কোন আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলাপ আলোচনা করে ‘র্যা নডম' পদ্ধতিতে এটি ব্যবহার করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার বিষয়ে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যদি দীর্ঘদিন অস্ত্র উদ্ধার না হতো তাহলে নির্বাচনের আগে নতুন করে শুরু করতে হতো। কিন্তু র্যা ব-পুলিশের অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে মারাও গেছে অনেকে। এছাড়াওনিয়মিত গ্রেফতার হচ্ছে সন্ত্রাসীরা। আইজিপিকে ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব আরো বলেন, সকলের অংশগ্রহণমূলক, একটি সুন্দর, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। যে নির্বাচন হবে উৎসবমুখর পরিবেশে। যেখানে সকল রাজনৈতিক দল অংশ নেবে।