• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সাতক্ষীরার চারটি আসনের মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্তিতে তৃণমূল

মানচিত্রে সাতক্ষীরা

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

সাতক্ষীরার চারটি আসনের মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্তিতে তৃণমূল

  • সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০১৮

সাতক্ষীরার চারটি আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একেক সময় একেক নেতার মনোনয়ন পাওয়ার খবরে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে তৃণমমূলের কর্মীরা কিছুটা হতাশ। নেতারাও তাদের সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। মনোনয়ন পাওয়ার আশায় তারা ঢাকায় অবস্থান করায় তৃণমূল কর্মীরা কোনো কুল কিনারা পাচ্ছেন না। মনোনয়ন ইস্যুতে বিএনপি-আ.লীগসহ সব রাজনৈতিক দলের একই চিত্র।

বিশেষ করে আ.লীগ-বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে তফসিল ঘোষনার পর থেকে সাতক্ষীরার চারটি আসনেই নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে  হাটবাজারে, দোকানে ও গ্রামগঞ্জের মোড়ে বিশ্লেষণ চলছে কারা পাবেন মনোনয়ন অথবা জনপ্রিয়তায় কারা এগিয়ে আছে তা নিয়ে।

মনোনয়ন পেতে নিজ নিজ আসনের বেশীভাগ নেতা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। স্ব-স্ব আসনের মনোনয়ন নিয়ে ফেসবুক, বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ এলাকার মানুষের মুখে নানান খবর ছড়াচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন, তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই কারোর।

গতকাল বুধবার সকালে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসন এলাকার কাজীরহাট কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ার্কাস পার্টির নেতা এড. মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ আ.লীগের শরিক পাটি হিসেবে মনোনয়ন পাচ্ছেন। আবার কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা এলাকায় শুনছি সাবেক এমপি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান মনোনয়ন পাচ্ছেন’।

বিএনপি সমর্থক তালা উপজেলার ইসলাম কাটি গ্রামের আব্দুল আহাদ জানান, মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে একেক সময় একেক জনের নাম শুনছি। তবে হাবিবুল ইসলাম হাবিব মনোনয়ন পাবেন বলে তিনি মনে করেন। আবার জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জুতউল্লাহ শরীক দল হিসেবে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের আ.লীগের সদস্য বলাডাঙ্গা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে একেক সময় একেক খবর আসছে। তাতে কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। দলের প্রার্থী যেই হোক না কেন দ্রুত জানা গেলেই মঙ্গল’।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের আ’লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আমরা বিভ্রান্ত হচ্ছি। কারণ সঠিক খবর পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি মনে করেন, যত দ্রুত মনোনয়নের খবর পাওয়া যাবে, ততই মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা কেটে যাবে’।

সাতক্ষীরা-৪ আসনের শ্যামনগর উপজেলা সদরের চায়ের দোকানদার আলামিন হোসেন বলেন, ‘তার দোকানে আসা লোকজন একেক সময় একেক জনের নাম বলছেন’। তিনি মনে করেন, মনোনয়ন চুড়ান্ত হলেই এই বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে।

সাতক্ষীরা -৪ শ্যামনগর আসনের আ.লীগের বর্তমান এমপি জগলুল হায়দার বলেন, ‘মনোনয়ন আমি পাচ্ছি কিনা জানি না। এনিয়ে কর্মীদেন আগ্রহের কমতি নেই। তাই আমি মনে করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মনোনয়ন চুড়ান্ত হোক, তাতে মানুষের বিভ্রান্তি কেটে যাবে’।

সাতক্ষীরা -১ আসনের বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশি কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রকাশনা সম্পাদক হাবুিল ইসলাম হাবিব বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত দল কারো নাম চুড়ান্ত করেনি। তাই কেউ মনোনয়ন পেয়ে যাচেছন, এমন খবরে বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়’।

সাতক্ষীরা নাগরিক সমাজের একজন অন্যতম সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, ‘মানুষের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। এ থেকেই তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি’। তিনি বলেন, ‘তার মধ্যেও কে কোন দলের মনোনয়ন পাবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads