• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
দুই দিনে হাজার প্রার্থীকে চিঠি

লোগো বিএনপি

নির্বাচন

প্রত্যাহারের আগের দিন বিএনপির আসন বণ্টন

দুই দিনে হাজার প্রার্থীকে চিঠি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ নভেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ। অথচ গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বিএনপি নিজ দল, দলটির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে আসন বণ্টন চূড়ান্ত করতে পারেনি। এ অবস্থায় দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগের দিন তারা বিষয়টি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবে। এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো দলের মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দিয়েছে বিএনপি। গতকাল দুপুর ১২টার পর থেকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রায় ১০০ আসনে প্রার্থীদের চিঠি দেয় বিএনপি। গুলশান কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত দুই দিনে অন্তত ২৫০ আসনে এক হাজার প্রার্থীকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়।

এদিকে গতকাল বিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিএনপি বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৮০০ প্রার্থীকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ২০-দলীয় জোটের শরিকদেরও চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন দিচ্ছে। পরে যখন বাছাই হয়ে যাবে, তখন চূড়ান্ত প্রার্থী ঠিক করা হবে।

তিনি বলেন, ২০-দলীয় জোটের মধ্যে বিজেপি, খেলাফত মজলিস, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, এনপিপি, লেবার পার্টি ও সাম্যবাদী দলকে আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। আনুমানিক ৫০টি আসনে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া আসনও রয়েছে।

এদিকে মনোনয়ন নেওয়ার জন্য সকাল থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিজ নিজ সমর্থক নেতাকর্মীদের নিয়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেন। দুপুর ১২টার মধ্যেই কার্যালয়ের সামনের রাস্তা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মনোনয়নপত্র দেওয়া শুরু হলে কর্মী-সমর্থকরা নেতাদের নামে স্লোগান দিতে থাকেন।

গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ-১ আসনে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের হাতে মনোনয়নের চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর একে একে প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নের চিঠি তুলে ধরা হয়। গতকাল যারা মনোনয়নের চিঠি নিয়েছেন তারা হলেন-

ঢাকা বিভাগ : ঢাকা-১ আসনে ফাহিমা হোসাইন জুবলী/ খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-৫ নবীউল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ ইশরাক হোসেন/আবুল বাশার, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৯ হাবীব-উন-নবী সোহেল, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৩ আবদুস সালাম/আতাউর রহমান ঢালী, ঢাকা-১৪ সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, ঢাকা-১৬ মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ হাসান, ঢাকা-১৭ মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ঢাকা-১৮ এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন/মো. বাহাউদ্দীন সাদী, ঢাকা-১৯ ডা. দেওয়ান মো. সালাহ্উদ্দিন, ঢাকা-২০ ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান/সুলতানা আহমেদ, নরসিংদী-১ খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী-৩ অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া/আকরামুল হাসান, নরসিংদী-৪ শাখাওয়াত হোসেন বকুল, নরসিংদী-৫ মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন/এ কে নেছার উদ্দিন, ফরিদপুর-১ শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, ফরিদপুর-২ শামা ওবায়েদ/শহীদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদপুর-৪ শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, গোপালগঞ্জ-১ মো. সেলিমুজ্জামান মোল্লা/শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, গোপালগঞ্জ-২ ডা. কেএম বাবর/সিরাজুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ-৩ এসএম আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ মোহাম্মদ রেজাউল করিম খান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ-৫ শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল/মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বল, কিশোরগঞ্জ-৬ মো. শরিফুল আলম, টাঙ্গাইল-১ ফকির মাহবুব আনাম স্বপন/সরকার শহীদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-২. সুলতান সালাউদ্দিন টুকু/শামছুল আলম তোফা, টাঙ্গাইল-৩ লুৎফর রহমান খান আজাদ/মাইনুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৪ লুৎফর রহমান মতিন/আবদুল হালিম, টাঙ্গাইল-৫ মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান/ছাইদুল হক ছাদু, টাঙ্গাইল-৬ গৌতম চক্রবর্তী/নূর মোহাম্মদ খান, টাঙ্গাইল-৭ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী/সাঈদ সোহরাব, মুন্সীগঞ্জ-১ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মুন্সীগঞ্জ-২ শাহ সৈয়দ সরোয়ার, মুন্সীগঞ্জ-৩ আবদুল হাই, নারায়ণগঞ্জ-১ তৈমূর আলম খন্দকার/মুস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া/কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ-২ নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ খন্দকার আবু জাফর/আজাহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ মামুন মাহমুদ/মোহাম্মদ শাহ আলম, নারায়ণগঞ্জ-৫ মাকসুদুল আলম খন্দকার, গাজীপুর-১ চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, রাজবাড়ী-১ আলী মাহমুদ নেওয়াজ খৈয়াম, রাজবাড়ী-২ আসলাম মিয়া।

চট্টগ্রাম বিভাগ : কুমিল্লা-৩ শাহিদা রফিক/কেএম মজিবুল হক, কুমিল্লা-৪ শাহিদা রফিক, কুমিল্লা-৫ শওকত মাহমুদ/অধ্যাপক মো. ইউনুস, কুমিল্লা-৬ হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন/সৈয়দ গোলাম মহিউদ্দিন, কুমিল্লা-৯ আনোয়ারুল আজিম, কুমিল্লা-১০ মোবাশ্বের আলম ভুইয়া ও মনিরুল হক চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ শেখ মো. শামিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ড. তৌফিকুল ইসলাম/ খালেদ মাহমুদ শ্যামল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আবদুল খালেক/ রফিক সিকদার, চাঁদপুর-৫ এমএ মতিন/ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, চাঁদপুর-৩ শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। নোয়াখালী-১ মাহবুব উদ্দিন খোকন/মামুনুর রশীদ, নোয়াখালী-২ জয়নুল আবদিন ফারুক/জাফর ইকবাল, নোয়াখালী-৩ বরকতউল্লা বুলু/  ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম, নোয়াখালী-৪ শাহিনুর বেগম, নোয়াখালী-৫ মওদুদ আহমদ, নোয়াখালী-৬ ফজলুল আজিম, লক্ষ্মীপুর-২ আবুল খায়ের ভুইয়া/হারুনুর রশীদ, লক্ষ্মীপুর-৩ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী/সাহাবুদ্দিন সাবু, লক্ষ্মীপুর-৪ আশরাফ উদ্দিন নিজান, ফেনী-১ খালেদা জিয়া/আবদুল আউয়াল মিন্টু, ফেনী-২ জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), ফেনী-৩ আবদুল আউয়াল মিন্টু/আবদুল লতিফ জনি, চট্টগ্রাম-১ কামাল উদ্দীন আহমেদ/মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ইউসুফ/ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-৩ নুরুল মোস্তফা, চট্টগ্রাম-৫ মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৭ মো. শওকত আলী নূর, চট্টগ্রাম-৮ আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৯ সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম-১০ মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, চট্টগ্রাম-১২ মোহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম-১৩ মুস্তাফিজুর রহমান, কক্সবাজার-১ হাসিনা আহমেদ, কক্সবাজার-২ আলমগীর ফরিদ, কক্সবাজার-৩ লুৎফর রহমান কাজল, কক্সবাজার-৪ শাহজাহান চৌধুরী/মো. সালাহউদ্দিন, বান্দরবান-সাচিং পুরু জেরি/উম্মে কুলসুম সুলতানা, রাঙামাটি-দীপেন দেওয়ান/মনি স্বপন দেওয়ান, খাগড়াছড়ি-আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads