• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
শাহরাস্তিতে রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের গণসংযোগ

শাহরাস্তির রায়শ্রী উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নে গণসংযোগকালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমকে পেয়ে উচ্চাস্বিত মহিলারা।

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নির্বাচন

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি)

শাহরাস্তিতে রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের গণসংযোগ

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের শাহরাস্তির উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ও রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন মহাজোট সমর্থিত আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরত্তম এমপি। বুধবার সকালে প্রচ- ঠান্ডা ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিনি গণসংযোগ শুরু করেন।

রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের শাহরাস্তি বাজারে পথসভায় বিপুল জনতার উপস্থিতি তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকের টানা ৫ বছর নমিনেশান দিয়েছে। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও নৌকা মার্কা একে অপরের সাথে জড়িত। জাতীয় পতাকা পেয়েছি, নৌকার জন্যই। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আবারো একটি যুদ্ধ করতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, যারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারা আবার কিভাবে মানুষের ভোট চাই। যদি তারা আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশের উন্নয়ন থমকে যাবে।

তিনি বলেন, বিগত ৩০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়নি গত ১০ বছরে তার উন্নয়নে হয়েছে। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে ডাকাতিয়া নদীর উপর ৭টি সেত করা হয়েছে। ৮ম সেতুর কাজ চলমান রয়েছে। সাড়ে ৩’শ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছে। সাড়ে ৬’শ স্কুল, মাদরাসা ভবন করা হয়েছে। ৬’শর মতো ছোট বড় ব্রীজ কালভার্ট করা হয়েছে। যাদের জায়গা আছে ঘর নেই এমন দূঃস্থ মহিলাদের ঘর করে দেয়া হয়েছে। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা। এসব এলাকায় এখন মানুষ না খেয়ে মরেনা।

তিনি বলেন, এখন আমাদের উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ। এবার নির্বাচনের পর বাকী উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত কর হবে। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির প্রত্যেক পরিবারের ১জন করে সন্তানকে চাকুরী দেয়া হবে।

গণসংযোগকালে তার আবেগাফ্লুত বক্তব্যে গণসংযোগে আসা মানুষগুলোর চোখে পানি এসে যায়। এ সময় তিনি হাজীগঞ্জ- শাহরাস্তির জনগনের সাথে ২৩ বছর এক সাথে কাটানের স্মৃতিময় দিনগুলো তুলে ধরে বলেন, আমি আপনাদের সাথে ২৩ বছর আছি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের পাশে থাকতে চাই। তিনি বলেন, আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। মা-বাবা নেই, স্ত্রী ছিল সেও মৃত্যুবরণ করেছে। এক ছেলে ও এক মেয়ে দেশের বাহিরে থাকে। আপনারাই আমার আপনজন। আপনাদের সাথে আমি মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েগেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান মিন্টু, সভাপতি বীরমুক্তিযুদ্ধা ফরিদউল্যাহ চৌধুরী, মেহের উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন, টামটা উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক দর্জি, জেলা পরিষদের সদস্য তুহিন খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক খোকন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মো. আদেল, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. ইলিয়াস মিন্টু, প্রচার সম্পাদক জেড এম আনোয়ার, শাহরাস্তি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আহসান মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুল কবির, সাবেক আহবায়ক তোফায়েল আহমেদ ইরান, শাহরাস্তি উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারন সম্পাদক মানিক

হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মন্নান। পথসভার সভাপতিত্ব করেন আওয়ামীলীগ নেতা আজাদ হোসেন, পরিচালনা করেন মিজানুর রহমান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads