• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন জরুরি

গুলশানের হলি আর্টিজান মামলার অভিযোগপত্র দাখিল

সংরক্ষিত ছবি

সম্পাদকীয়

হলি আর্টিজানের চার্জশিট

জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন জরুরি

  • প্রকাশিত ২৫ জুলাই ২০১৮

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দুই বছরের মাথায় এসে গত সোমবার পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। তাতে বলা হয়, হামলাকারীরা ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করে। জড়িত সন্দেহে ২১ জনকে চিহ্নিত করে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আনা হয়। এর মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার ও দুজন পলাতক। এ ছাড়া এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে হলি আর্টিজান থেকে গ্রেফতারকৃত নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসনাত করিমের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। তদন্তে তার বিরুদ্ধে এ হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ মেলেনি। ২০১৬ সালের ১ জুলাই সংঘটিত হয় এই জঙ্গি হামলা। সেখানে ২০ জন নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছিল, যাদের ১৭ জন ছিলেন বিদেশি। এ ছাড়া ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। বাংলাদেশের এ ঘটনা বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আলোচনার ঝড় তুলেছিল বিশ্বের মিডিয়াগুলোতে। ন্যক্কারজনক হত্যাযজ্ঞের দিনটি বাংলাদেশ আজও স্মরণ করে শোক ও ক্ষোভের সঙ্গে।

 

এ ঘটনা প্রমাণ করে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে জঙ্গি তৎপরতা সক্রিয় রয়েছে। এই উপমহাদেশও জঙ্গি-তৎপরতামুক্ত নয়। তবে জঙ্গি তৎপরতা বাংলাদেশে এখন অনেক কমে এসেছে, এককথায় নেই বললেই চলে। এটা সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের গৃহীত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে। সুখবর হলো সারা বিশ্বই জঙ্গিবিরোধী অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। ভূরাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সম্মিলিতভাবেই জঙ্গিবিরোধী কর্মকাণ্ড জোরদার করা ছাড়া বিকল্প নেই। ইউরোপের মতো উদারনৈতিক সমাজও এখন নানামাত্রিক গোপন হামলার শিকার হচ্ছে। এই অবস্থায় নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই কারো। আমরা মনে করি, জঙ্গি ইস্যুটি এখন একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। একে মোকাবেলা করতে হলে সারা বিশ্বকেই একযোগে কাজ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, তথ্য-প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের সময়ে জঙ্গিরা যে আরো বেশি কৌশলী হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

সুতরাং প্র্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক কোনো উপায়েই যেন জঙ্গিবাদের প্রচার না চলে তা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারির আওতা আরো সম্প্রসারিত করা জরুরি। আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সার্বক্ষণিক পালন করতে হবে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব। তথ্য ও যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। এই অর্জন জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কাছে কিছুতেই পরাজিত হতে পারে না। প্রয়োজনে সম্মিলিতভাবে সামাজিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সভ্যতাবিনাশী জঙ্গিদের মোকাবেলা করতে হবে। আর সে লক্ষ্যেই জঙ্গিদের মূলোৎপাটনে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads